তানোরে আল ফালাহ মাদ্রাসায় কিছুই নেই তারপরও এমপিও

 

তানোর প্রতিনিধি: শিক্ষা নিয়ে জালিয়াতি বাড়তেই আছে, একের পর এক শিক্ষকের জাল সনদ, ভুয়া ছাত্র দেখানো, প্রধান অন্য স্কুলে কর্মরত, কোনদিন ক্লাস হয়নি, নেই ছাত্র, হয় না জাতীয় সংগীত, এক কোথায় এমপিও হওয়ার কোন নীতি মালাতেই নেই, তারপরও জালিয়াতি করে এমপিও। অবাক করার বিষয় শুধু টাকার জোরেই হয়েছে এমপিও মাদ্রাসাটি বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন(ইউপির) দেওউল গ্রামে, তালন্দ কলমার রাস্তার পুর্বে আল ফালাহ মাদ্রাসাটি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যবদি কোন ক্লাস হয় না। নেই কোন ধরনের অবকাঠামো। মান সম্মত ক্লাস রুম। যেখানে শিক্ষার্থী নেই সেখানে ক্লাস রুমের প্রয়োজনটাই বা কি। আবার চলতি মাসে সুপার সুপারসহ ৫ জনের বেতুনও এসেছি। এক কাল্পনিক মাদ্রাসার এমপিও নিয়ে উঠেছে তুমুল জল্পনা কল্পনা। শুধু এখানেই শেষ না মাদ্রাসা সুপার শরিফুল কামারগা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকেও হয়েছেন সুপার। মাদ্রাসার এমন অনিয়ম ভাবে এমপিও হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে কিছুই আসা করা যায় না বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। অবশ্য সবকিছু সম্ভব হয়েছে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্বাধীনতা দিবসে জিয়ার ভাষন ভাজিয়ে সাসপেন্ড কৃত একে সরকার সরকারী কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ। এতে মাদ্রাসাটির ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে জালিয়াতির জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি একাধিক সুপারের।
জানা গেছে, বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারে শুরুর দিকে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আল ফালাহ নামক দাখিল মাদ্রাসা। শুরুর দিকে সুপারের দায়িত্বে ছিলেন মাওলানা মোহাম্মাল আলী। কিন্তু বর্তমান সুপারের গ্যাড়াকলে প্রতিষ্ঠাতা সুপার বাদ পড়ে। কিন্তু প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এমপিও হওয়ার পর বর্তমান সুপার শরিফুল ইসলাম কামারগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরী করতেন। এমনকি তার বেতন আসার আগ পর্যন্ত কোন রিজায়িন দেন নি। চলতি মাসে বেতন আসার কিছুদিন আগে পদত্যাগ করে সুপারের বেতন তুলেছেন।
গত রোববার সরেজমিনে বিকেল সাড়ে তিন টার দিকে দেখা যায়, মাদ্রাসার সব রুমে তালা মারা। জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলা হয়েছে। অথচ বিকেল চারটা দশ মিনিট পর্যন্ত চালাতে হবে।
এর আগেও দেখা গেছে, দুপুরের সময় মাদ্রাসায় বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান রা ছিলেন। তারা জানান, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মিটিং ও দুপুরে ভোজ।
এক সুপার নাম প্রকাশ না করে বলেন, কোন মিটিং ছিল না, পাঁচজনের বেতন হয়েছে সে জন্য দুপুরের খাওয়ার দাওয়াতে এসেছি।
আরেক সুপার জানান, শিক্ষার কি বেহাল অবস্থা, এই মাদ্রাসা কিভাবে এমপিও হয়। যারা দেবিপুর রহমানিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের এই মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে দেখিয়ে আসছে। আবার আল ফালাহ মাদ্রাসার ফলাফল নাকি শত ভাগ এর চেয়ে মিথ্যাচার কি হতে পারে। দুনিয়ার রিজিকের জন্য মাদ্রাসার শিক্ষকরা জালিয়াতি করেন, তাহলে ছাত্ররা কি হবে বুঝতে হবে। এমনকি পাঠদানের মত শিক্ষকও নেই, তাহলে ফলাফল কি ভাবে হয়। তবে এদেশেই এসব সম্ভব। এমপিও করার আগে যাচাই বাছাই করা একান্ত প্রয়োজন ছিল। যে প্রতিষ্ঠানে দু চারজনও ছাত্র নেই।
আল ফালাহ মাদ্রাসার সুপার শরিফুল ইসলাম জানান, সবকিছু নিয়মের মধ্যে আছে বলেই এমপিও হয়েছে। এমপিওর অনুমোদনে কোন টাকা লাগে না। নীতিমালার শর্তপুরুন আছে বলেই হয়েছে। আপনি কামারগাঁ স্কুলের শিক্ষক হয়ে মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্ব কিভাবে পালন করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, যোগ্যতা আছে বলেই পারছি। আমার বিরুদ্ধে যত খুশি লিখেন, কিছু হবে না। কবে রিজাইন দিয়েছেন এবং সুপারের নিয়োগ পেলেন কিভাবে প্রশ্ন করা হলে কোন সদ উত্তর না দিয়ে খবর করেন বলে প্রচুর দম্ভক্তি প্রকাশ করেন তিনি।
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজ জানান, শিক্ষার্থী নেই ক্লাস হয় না ঠিক আছে, কিন্ত দীর্ঘ ২১ টি বছর ধরে যে ভাবেই হোক এমপিও হয়েছে, এখন সবকিছু সরকারি নিয়ম অনুষায়ী শুরু হবে।
মাধ্যমিক অফিসার সিদ্দিকুর রহমান তো সাব জানিয়ে দিলেন এমপিওর বিষয়ে অবহিত না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত না, যদি এমন হয়ে থাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শনিবার (ভোর ৫:১৩)
  • ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০