নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’। নারী ও পুরুষকে এভাবেই দেখেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বর্তমানে নারীরা কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই। তারা তাদের নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঘরে বাইরে সব পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। অনলাইন ব্যবসায়ের প্রবর্তনের ফলে নারীরা আরও বেশি পরিমাণে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হচ্ছে। তেমনি একজন উম্মে হানি।
ইউ এইস ফ্যাসন নামক একটি ব্রান্ড প্রতিষ্ঠা ও স্পার্কেল বাই উম্মে নামক একটি মেকভার প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা করছেন নারী উদ্যোক্তা উম্মে হানি।
উম্মে হানি সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের প্রতিনিধির।শুনিয়েছেন তার সফলতার গল্প। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক।
প্রতিবেদক : আপনার বিজয়ী নারী উদ্যোক্তা হওয়ার এর শুরুর গল্পটা জানতে চাই-
উত্তরঃ–আমি সব সময় চেষ্টা করতাম নিজে কিছু করার।পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করার ইচ্ছেটা আমার বরাবর ছিলো। তারপর করোনাকালীন সময় ঘরে বসে ছোট একটা উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে আমি বিজয়ী গ্রুপের ফাউন্ডার তানিয়া আপুর এই সুন্দর উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পাড়ি এবং আপুর এই নারী উন্নয়ন সংগঠনে এর বিভিন্ন ট্রেনিং এর মাধ্যমে আমি আবার আমার উদ্যোক্তা জীবনে ফিরে আসি।
প্রতিবেদকঃ আপনার পন্য সম্পর্কে বলুন-
উত্তর- গহনা,,হিজাব ব্রুজ,হিজাব,, পিন,, চাইনিজ প্রোডাক্ট,, ড্রেস,, বরকা,, ব্যাগ,,শাড়ি,, পানজাবি,,হলুদের জুয়েলারি,, জুতা,, অরিজিনাল পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান ড্রেস,,কসমেটিক আইটোম, আর সাথে মেকভার।
প্রতিবেদকঃ আপনার ব্যবসায়িক অবস্থান কীভাবে বেড়েছে, ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি-
আমি অল্প পুঁজি নিয়ে নেমে ছিলাম, আল্লাহতালার অশেষ মেহের বানিতে সবার ভালোবাসায় অনেক রেসপন্স পেয়েছি, প্রথম দিকে না পেলেও এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো সারা পাচ্ছি। আর সামনে পরিকল্পনা অনেক রয়েছে যেনো সবাই আমাকে চিনে জানে আমার প্রোডাক্টের অনেক প্রচার হয় ইনশাআল্লাহ সেই ভাবেই সততার সাথে কাজ করে যাবো
আমি আগে থেকেই বিজনেস করতাম কিন্তু বিজয়ীতে যাওয়ার পর আমার পরিচিতি বারলো আমাকে সবাই চিনতেছে জানতেছে এবং আলহামদুলিল্লাহ ভালো সেল হচ্ছে এবং বিজয়ী থেকে ফ্রী ট্রেনিং গুলো নিয়ে আমি বিজনেসের আইটেম আরো বাড়িয়েছি।
প্রতিবেদকঃ নারী হিসেবে ব্যবসা করতে এসে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সন্মুখীন হয়েছেন কি?
উত্তরঃ আমাদের সমাজে সবসময়ই সব পুরুষের চোখে নারীরা ছোট হয়ে থাকে
নারীরা কিছু করবে নারীর টাকা ইনকাম করবে এটা সব পুরুষ মেনে নিতে পারেনা।। তাই নিজে কিছু করব এজন্য বাধা সম্মুখীন তো হতেই হবে আর যেহেতু বিজয়ীর সাথে আছি তাই সকল বাধা অতিক্রম করে আমি সামনে এগিয়ে যাবোই যাবো।তবে অন্য কে কি বললো সেটা আমি মাথায় নেই নি কারন আমার জীবনে যেই দুইজন পুরুষ মেইন আমার বাবা আর আমার স্বামী আলহামদুলিল্লাহ আমি তাদের ১০০% সাপোর্ট পেয়েছি তাই অন্যরা কি বলছে আমি সেদিকে কান দেইনা।মানুষের কথা না শুনলেই সামনে আগানো যায় এটা আমার বিশ্বাস।
প্রতিবেদকঃ উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কার সহযোগিতা ও উৎসাহ পেয়েছেন এবং কিভাবে পেয়েছেন?
উত্তরঃ আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পিছনে আমার বাবা আর আমার ফ্যামিলি থেকে বেশি সাপোর্ট পেয়েছি।তারপর বিজয়ীতে আসার পর তানিয়া ইশতিয়াক খান বিজয়ীর ফাউন্ডার আপুর সাপোর্ট পেয়েছি।আপু এতো সুন্দর করে আমাদের মটিভেট করেন তা বলার মত না।আপুর অনেক সাপোর্ট আমাদের চাঁদপুরের নারীদের উপর।
প্রতিবেদক- নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?
উত্তর-আমি এইটুকুই বলব কেউ কিছু করতে চাইলে প্রথম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিজয়ী কে বেছে নাও। অবশ্যই সফল হবে।আর জীবনে কান কথা না শুনে চলবে সেই জীবনে সাকসেস আসবেই ইনশাআল্লাহ।