তানোরে বিএনপির জাগরনে হতাশায় ভুগছে আ”লীগের চেয়ারে থাকা নেতারা

 

তানোর প্রতিনিধি: সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীর তানোরেও জাগরন সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি ও জামায়তের। শুধু মাত্র যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি হওয়ায় ভুলভাল বকা শুরু করেছেন ক্ষমতার চেয়ারের মসনদে থাকা আ”লীগের নেতারা। এছাড়াও আগামীর এমপি প্রার্থী মেজর শরিফ বেশকিছু ইউপিতে মতবিনিময় সভা করতেই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পাগল পারা হয়ে গেছে বলে মনে করছেন আপামর জনতা। আরে বিএনপির কথা না ভেবে নিজেদের মধ্যে যে বিবাদ বিভক্ত আছে সেটার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন আওয়ামীলীগের ত্যাগী সিনিয়র নেতারা। কারন আওয়ামীলীগের পতনের জন্য আওয়ামীলীগই যথেষ্ট। আসলে রাজনীতির প্রজ্ঞা না থাকলে যা হয় সেটাই হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের বেপোরয়া নৈরাজ্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নানা কারনে হয়রানি মামলা, হামলা ও বিভিন্ন প্রকল্প লুট, অসহায় দরিদ্রের সরকারের দেওয়া বিভিন্ন প্রনোদনা না দিয়ে বানিজ্য করা, গৃহহীনদের বাড়ি না দিয়ে টাকার বিনিময়ে দেওয়াসহ স্বজন প্রীতি ত্যাগীদের মুল্যায়ন না করা ইত্যাদি ইত্যাদি কারনে সাধারন মানুষ মুখ পিরিয়ে নিয়েছে। যার প্রমান বিভিন্ন ইউপিতে বর্ধিত সভায় নেতাকর্মী দের বিপরীতে উপকারভোগীদের সভায় আসতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও একাধিক সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, দেশের কয়েকটি বিভাগে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ গুলো দেখে তালমাতাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ক্ষমতাসীনদের। আবার সমাবেশগুলো বন্ধ করতে নানা ভাবে তৎপরতা করে চরমভাবে ব্যর্থ আ”লীগ। তারা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছেন। বাদ নেই তানোরেও। আতি নেতা পাতি নেতা সবাই সম্পদশালী।
বিএনপির নেতারা জানান, কয়েকটি সভা করতেই ভুলভাল কথা বলা শুরু করেছে ক্ষমতাসীনরা। কারন ক্ষমতা থেকে বাদ পড়লে সাধারন জনগন তাদেরকে ছাড় দিবে না। তারা বিভিন্ন ভাবে উস্কানি মুলুক কথাবার্তা বলে আমাদেরকে মোকাবিলা করতে তাদের নেতাকর্মী দের প্রস্তুত হতে বলছেন। তাদের নৈরাজ্য লুটপাটের কথাও নাকি বলা যাবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসুচীতে বিশ্বাসী। যদি আঘাত আসে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। তারা বিভিন্ন ইউপির বর্ধিত সভা করছে, যেখানে দলীয় কর্মীর বিপরীতে সরকারি উপকার ভোগী বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলা পুরুষদের আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। নেতাকর্মী দের না পেয়ে এসব বয়োজ্যেষ্ঠদের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলছে এর চেয়ে হাস্যকর আর কি হতে পারে। আসলে ক্ষমতার মোহের গ্রাসে উলট পাটল অবস্থা তাদের। মামলা হামলা গলাবাজি এসব আর চলবে না। যত খুশি মামলা দিক সব ফায়সালা হবে রাজপথে। আন্দোলন শুরু হয়েছে, বাংলার মানুষ জেগে উঠেছে ভোটের অধিকার গণতন্ত্রের অধিকার দেশমাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত, মিথ্যা হয়রানি গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, লাগামহীন বাজার ব্যবস্থা, সার নিয়ে মহাসিন্ডিকেট, সব জায়গায় দলীয় কোটাসহ নানান বিষয়ে বিএনপির আন্দোলনের সাথে বাংলার জনসাধারন জেগে উঠেছে। এজাগরন তখনই থামবে যতক্ষন না এই ফ্যাসিষ্ট লুটপাট কারী ভোটার বিহীন সরকারে পতন না হবে।
তানোর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএ মালেক মন্ডল জানান, আগামী ৩ রা ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ হবে। এই সমাবেশ যাতে না করতে পারে বিএনপি এজন্য আওয়ামীলীগ নানা ভাবে প্রশাসন দিয়ে হুমকি ধামকি শুরু করেছেন। খোড়া অজুহাত পেলেই দেওয়া হচ্ছে গায়েবী মামলা সহ নানা ভাবে চেষ্টা করছে পেটুয়া বাহিনী দিয়ে। তারা শান্তিপূর্ণ তানোরকে অশান্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে এসব করছে চেয়ারে থাকা ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। আর যারা ত্যাগী তারা তো আর নেই। গত ২০ নভেম্বর রোববার বিকেলে চান্দুড়িয়া আবু বকর স্কুল মাঠে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছে। সেই সভায় কামারগা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ তার বক্তব্যে বলেন চান্দুড়িয়া ইউপি বিএনপির কোন নেতা কামারগাঁতে সভা করলে সেটার হাড্ডি ভেঙ্গে ফেলবে এবং প্রচুর খারাপ গালি দিয়ছে। একজন জনপ্রতিনিধি যদি উম্মাদের মত কথা বলেন, তাহলে তার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়।
আমরা নাকি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছি। আরে তোমরা ক্ষমতায় আছ, তোমাদের নানা অপকর্মের কথায় তো বলবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে এরা ক্ষমতার মোহে তালমাতাল অবস্থা হয়ে পড়েছে। আবার মাঠে বলি ছড়াচ্ছে বিএনপি জামাত পুনরায় ক্ষমতায় এলে নাকি কেউ রক্ষা পাবে না। তাহলে তারা কি পরিমান অরাজকতা করেছে, যে ক্ষমতার চেয়ার না থাকলে মার খেতে হবে। কোন ভাবে জনগণের এজাগরন ঠেকানো যাবে না। রাজশাহীর সমাবেশ ইতিহাস সৃষ্টি করবে। তিনি সবাইকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ও আমিলীগদের ফাদে পা না দেওয়ার জন্য আহবান জানান। তবে বাধা এলে প্রতিরোধ করা হবে। কারন মামলা জেল জুলুমে আর কাজ হবে না সেটা আওয়ামীলীগ ভালো ভাবেই জানে।
তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান জানান, জনসাধারন জেগে উঠেছে, কোনকিছুতেই এজাগরন বন্ধ করা যাবে না। হাজারো মামলা ভয়ভীতি এসবে আর কাজ হবে না। রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানের সমাবেশ দিয়ে প্রমানিত হবে উত্তর বঙ্গ বিএনপির ঘাটি। রাতের ভোটের প্রতিনিধিদের ক্ষমতা এমন ভাবে গ্রাস করেছে যে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তানোরের বিএনপিসহ আপামর জনতা সমাবেশে যেতে প্রস্তুত হয়ে আছে। যে কোন মুল্যে সমাবেশে যাবে নেতাকর্মীরা এবং যত গুলো বিভাগীয় সমাবেশ হয়েছে, রাজশাহীতে হবে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সমাবেশ, জনসমুদ্রে পরিনত হবে রাজশাহী। সবকিছুই শান্তিপূর্ণ হবে, কোন উস্কানিতে পা দিবেনা বিএনপি।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান হান্নান জানান, উপজেলার আনাচে কানাচে ও বিভিন্ন জায়গায় সভা করে সমাবেশের কথা বললেই নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারন মানুষও যেতে প্রস্তুত। কয়েকদিন আগেই সমাবেশস্থলে পৌছবে তানোর বিএনপি। গত ২০ নভেম্বর রোববার চান্দুড়িয়া ইউপিতে আওয়ামীলীগ প্রতিবাদ সভা করেন, সেখানে কামারগাঁ ইউপির চেয়ারম্যান ফরহাদ যে গালিগালাজ করে বক্তব্য দিয়েছে সেটা কারো কাছে গ্রহন যোগ্য না। একজন জনপ্রতিনিধির এধরনের বক্তব্য জনগণ মানবে না। আমাদের সবকিছুই হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ভাবে। তিনি নেতাকর্মীদের কোন ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দলীয় কার্যক্রম করার আহবান জানান এই নেতা।

সারোয়ার হোসেন
২১ নভেম্বর /২০২২ইং

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শুক্রবার (রাত ৮:২৪)
  • ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০