ফাতেমা আক্তারের “বিজয়ী” হওয়ার গল্প

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ থেমে নেই নারী সমাজ। আজকের নারীরা নেই কোনো অংশে পিছিয়ে। তারা আজ অন্তঃপুর থেকে বেরিয়ে বিশ্ব জয় করছে। শুধু সংসার নয়, সামলাচ্ছে বাইরের কাজও। পুরুষের পাশাপাশি আজ তারাও ধরছে সংসারের হাল। আজ তারা হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী। গড়ে তুলছে নিজেদের পরিচয়। তেমনি একজন সাহসী ও স্বাবলম্বী নারী ফাতেমা আক্তার। ফাতেমা আক্তার সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের প্রতিনিধির। শুনিয়েছেন তার সফলতার গল্প। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক।

প্রতিবেদক : আপনার বিজয়ী নারী উদ্যোক্তা হওয়ার এর শুরুর গল্পটা জানতে চাই-
উত্তরঃ–আমি সব সময় চিন্তা করতাম যে নিজে কিছু না কিছু করবো, পরিবারের পাশে দাঁড়াবো। আমি বিভিন্ন স্বাবলম্বী নারীদের দেখে অনুপ্রানিত হয়েছি। তার মধ্যে বিজয়ীর কর্নধার Tania Ishtiaque Khan আপুর বিভিন্ন সফলতার নিদর্শন দেখে বেশি অনুপ্রানিত হয়েছি। তারপর আমার Husband বলে অনেক নারীরা ঘরে বসে থেকে অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে। তুমিও সেরকম কোনো বিষয়ে কাজ করতে পারো। তারপর বিভিন্ন প্রকারের ফুলগাছের প্রতি আমার খুব দুর্বলতা রয়েছে। তাই প্রথমেই বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ নিয়ে যাত্রা শুরু করি। তারপর বিভিন্ন প্রকারের হোম মেইড আচার ও বিভিন্ন রকমের দেশি বিদেশী হোলসেল পন্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ সবার দোয়ায় ভালো সাড়া পাচ্ছি।

প্রতিবেদকঃ আপনার পন্য সম্পর্কে বলুন-

উত্তর- ১)এডোনিয়াম। ২)বিভিন্ন জাতের ক্যাকটাস। ৩)লাকী ব্যাম্বো। ৪)বিভিন্ন জাতের জবা ফুল গাছ। ৫)বিভিন্ন জাতের কাটা মুকুট ফুল গাছ। এছাড়াও আরো বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ বিক্রয় করে থাকি। আরো কাজ করছি : সুতি থ্রিপিস ও শাড়ী, বোরখা, মাদুরাই কটন শাড়ী, সিল্ক কাতান, বাটিক শাড়ী, থ্রিপিস, হ্যান্ড পার্টস, ব্যাগ, কসমেটিকস, ব্রোঞ্জ পিন, হিজাব, অর্নামেন্টস, হেয়ার ওয়েল, হেয়ার ব্যান্ড, স্কিন কেয়ার পন্য, শীতের পোশাক, বেবী প্রোডাক্ট, ইন্ডিয়ান পন্য, হোম মেড আচার অর্ডার নিয়ে থাকি।

প্রতিবেদকঃ আপনার ব্যবসায়িক অবস্থান কীভাবে বেড়েছে, ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি-

উত্তরঃ বিজয়ী থেকে আমার ব্যবসা শুরু ইনশাল্লাহ বিজয় হাত ধরে আমি সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। পাশাপাশি আমার আশপাশের আপুদের উদ্যোগী করে তুলবো।

প্রতিবেদকঃ নারী হিসেবে ব্যবসা করতে এসে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সন্মুখীন হয়েছেন কি?


উত্তরঃ না। কারন সবসময় সব বিষয়ে আমার Husband বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন।
প্রতিবেদকঃ উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কার সহযোগিতা ও উৎসাহ পেয়েছেন এবং কিভাবে পেয়েছেন? উত্তরঃ আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পিছনে সর্বপ্রথম অবদান আমার Husband এর। তারপর বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান আপুর।। কারণ উনার হাত ধরেই আমি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি আর আজ পূরনের পথে।

 

 

প্রতিবেদক- নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?
উত্তর- যে যেই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে সে ধরনের বিষয়ে নিয়ে কাজ করলেই সফলতা নিশ্চিত।বিজয়ী থেকে ফ্রি প্রশিক্ষন নিয়ে এবং বিজয়ী এর হাত ধরে তানিয়া ইশতিয়াক খান আপুর পরামর্শ নিয়ে এগিয় যান ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • মঙ্গলবার (বিকাল ৫:১৩)
  • ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০