রাউজান প্রতিনিধিঃ
গত ১ ডিসেম্বর বাড়ির নালা ভিতর থেকে চট্টগ্রামে রাউজানের গৃহবধু রোকসানা আকতার (২৮) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক স্বামী শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে থানা পুলিশ।স্বামী মো. আজম ও শাশুড়ী রিজিয়া বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এমন স্বীকারোক্তী দিয়ে বলেছেন এই হত্যাকাণ্ডে মুল পরিকল্পনাকারী ছিল রোকসানার মামা শ্বশুর মো. ইউসুফ।জানা যায়, রোকসানা আকতারের স্বামী আজম হাবাগোবা প্রকৃতির মানুষ। মামা তাকে ফুসলিয়ে বাবার সম্পত্তি বিক্রি করিয়ে সবটাকা রেখে দেয়।অসচ্ছল এই পরিবারটির জমি বিক্রির টাকা থেকে ইউসুফ প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে সংসার খরচ দিত। রোকসানা মামা শাশুড়ের কাছে আবদার করে আসছিল জমি বিক্রির টাকা যেন তার স্বামীকে বিদেশ পাঠানোর জন্য দেন। এমন আবদার বার বার করতে থাকায় ইউসুফ ক্ষেপে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সর্ম্পকের অবণতি হয়ে পড়ে। এক সময় ইউসুফ রোকসানাকে মেরে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে।এই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ইউসুফ নিহতের ননদ ফেরদৌসীর স্বামী সোহেল, সোহেলের বন্ধু জহির মিলে কাঠের বাটাম দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে গলটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে মৃত্যু নিশ্চিত হলে টেনে বাড়ির পিছনে নালার ভিতর ফেলে দেয় ২৭ নভেম্বর রাতে। ২৮ নভেম্বর সু-চতুর ইউসুফ রোকসানার স্বামীকে দিয়ে নিখোঁজ ডাইরী করান থানায়।রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, এ ঘটনায় স্বামী ও শ্বাশুরীকে আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে খুনপরবর্তী লাশ গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হলে তারা আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। পলাতক আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।