সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি :-
সোনাগাজীতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কামরুন নেছা কণা ও তার স্বামী মোঃ মোর্তজা স্বপন (৪৭) তার ছেলে ওমর মোর্তজা (১১) কে মারধোর, গালিগালাজ ও হুমকি ধমকির অভিযোগ।
২২শে জানুয়ারি (রবিবার) বিকেলে সোনাগাজী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ ও মৌখিক বক্তব্যে শিক্ষিকা কামরুন নেছা কণা জানান- সোনাগাজী উপজেলার সরকারি আবাসিক কোয়ার্টারে বসবাসকারী (উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ীর চালক) জসিম উদ্দিন প্রকাশ- বাঘা জসিমের ছেলে শাহাদাত হোসেন ইমরুল (১৮) দীর্ঘদিন ধরে সে ও তার মেয়ে এবং তার নিকট প্রাইভেট পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করে আসছে। শিক্ষিকার স্বামী মোঃ মোর্তুজা বিষয়টি বারবার জসিম উদ্দিনকে জানালেও তিনি ছেলের বিচার করেননি।
২১শে জানুয়ারি রাত ১০টায় বাদিনী কাউন্সিলর তাসলিমা আক্তারে বাসা থেকে ফেরার পথে ইমরুল অনুরূপ অশ্লীল কথাবার্তা বলিতে থাকলে শিক্ষিকা কামরুন নেছা কণা তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ জানান, এতে জসিম উদ্দিন, ইমরুল ও আবদুল হালিম সহ অপরাপর লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষিকার পথরোধ করে মারধোর করে। শিক্ষিকার চিৎকারে তার স্বামী ও সন্তান ছুটে আসলে জসিমউদদীন সহ তার সঙ্গীয় লোকজন তাদেরকে বেদম মারধোর করে ফুলা জখম করেন। এসময় তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া সহ বেশি বাড়াবাড়ি করলে খুনজখম করবে বলে হুমকি ধমকি প্রদান করেন।
এই ঘটনায় শিক্ষিকা কামরুন নেছা কণা ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জানান ও প্রতিকার পেতে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়র সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি অবহিত করেন।
সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন- শিক্ষিকা কামরুন নেছা কণার অভিযোগটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুরোধ করেছি।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খালেদ হোসেন বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।