শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রাউজানে দুইটি সুইস গেট বন্ধ থাকায় পানির অভাবে তিনটি ইউনিয়নের কয়েক’শ কৃষকেরা বোরো ধানের চাষাবাদ করতে পাচ্ছেনা। সরেজমিনে দেখা যায়,রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই এলাকায় মগদাই খালের সাথে হালদা নদীর সংযোগ মুখে সুইস গেইট বন্ধ রাখায় জোয়ারের পানি না আসায় আধার মানিক, পুর্ব আধার মানিক, উত্তর গুজরা, পশ্চিম কদলপুর এলাকার শত শত কৃষকের বিপুর পরিমান জমিতে সেচ সংকটের কারনে বোরো ধানের চালা রোপন করতে পারছেনা। পূর্ব আধার মানিক এলাকার কৃষক পিযুষ কান্তি চৌধুরী বলেন, তার চারটি সেচ প্রকল্পের আওতায় ৫শত একর ফসলী জমিতে কৃষকেরা বোরো ধানের চাষ করেন।তবে বোরে ধানের চারা রোপন করার শুরুতেই মগদাই খালের সুইস গেইট বন্ধ করে দেওয়ায় মগদাই খাল ও মগদাই খালের সাখে সংযুক্ত খাল গুলোতে পানি না থাকায় সেচ প্রকল্প থেকে ফসলী জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা।এলাকার কৃষকেরা তাদের ফসলী জমিতে সেচের পানি সংকটে বোরো ধানের চালা রোপন করতে ব্যার্থ হয়ে হাহাকার করছেন। তিনি বলেন আমি নিজেও ৫শত একর জমিতে বোরোধান চাষ করি।পানির অভাবে অনেক জমিতে এখনো চারা রোপন করতে পারিনাই।
পূর্ব আধার মানিক এলাকার কৃষক শিবু দে বলেন, নিজের স্ত্রীর স্বর্নংলকার বিক্রয় করে বোরো ধানের চাষাবাদ করছি। সেচের সংকটের কারণে ফসলী জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করতে পারছিনা । অপরদিকে রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের লাম্বুর হাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর সাথে হৃদ খালের মুখে সুইস গেইট বন্ধ থাকায় বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচঁখাইন, পাহাড়তলী ইউনিয়নের দেওয়ান পুর, বদু পাড়া, উনসত্তর পাড়া, পশ্চিম কদলপুর এলাকায় ফসলী জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করতে পারছেনা এলাকার কৃষকেরা।এলাকার কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী অনাবাদী জমিতে চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার সহায়তা করে আসছে । রাউজানের লাম্বুর হাট এলাকায় হৃদ খালের মুখে নির্মান করা সুইস গেইট বন্ধ থাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে বাধা হওয়ায় সেচ সংকটে বোরো ধানের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। মগদাই সুইস গেইট বন্ধ থাকায় হালদা নদী থেকে জোয়ারের পানি মগদাই খাল দিয়ে প্রবেশ করছেনা। এই দুইটি খালের সুইস গেট বন্ধ থাকায় এলাকায় ১ হাজার একরের বেশী ফসলী জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করতে কৃষকের পানির জন্য হাহাকার করছে । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন বলেন, মগদাই সুইস গেইট ও লাম্বুর হাট সুইস গেইট বন্ধ করে দেওয়ায় সেচের পানি সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়ে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আমাকে বলেছেন মগদাই সুইস গেইটের মোরামত কাজ চলছে। দুদিনের মধ্যে সুইস গেইট মেরামত কাজ শেষ করে সুইস গেইট খুলে দেওয়া হবে। লাম্বুর হাট সুইস গেইট খুলে দেবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আশ্বাস দিয়েছেন । এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী অমিত মজুমদারকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মগদাই সুইস গেইটের মেরামত কাজ চলছে মোরামত কাজ শেষ হলে শীঘ্রই সুইস গেইট খুলে দেওয়া হবে। লাম্বুর হাট সুইস গেইট এর পাশে একটি ব্রীজের নির্মান কাজের ফাইলিংয়ের কাজ করছে।ফাইলিংয়ের কাজ শেষ হলে শীঘ্রই সুইস গেইট খুলে দেওয়া হবে।