মোঃ তাজিদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ই-প্রেস ক্লাব ও এর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সারাদেশে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
২১শে ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১১’০ টায় ই-প্রেস ক্লাবের সিলেট বিভাগীয় প্রধান ও সাংবাদিকদের মুখপত্র ই-প্রেস নিউজ এর নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক মাসুদ লস্করের উপস্থিতিতে হবিগঞ্জের উদ্যোক্তা সাংবাদিক দেওয়ান মিয়ার নেতৃত্বে হবিগঞ্জ জেলার লিগ্যাল এইড ইনচার্জ এডভোকেট জসীম উদ্দিন, সাংবাদিক শাহাদাৎ ইসলাম মামুন,সাংবাদিক চাঁদ সুলতানা চৌধুরী সাবানা,সাংবাদিক শাহ মো:কামাল হুসেন, নবীগঞ্জ উপজেলা প্রস্তাবিত কমিটির আহবায়ক সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন প্রমুখ হবিগঞ্জ জেলাপ্রশাসক এর অফিস প্রাঙ্গনে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে ই-প্রেস ক্লাবের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলুল কবীর এর নির্দেশ মোতাবেক সকাল ৭’০ টায় আজমেরিগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক আশিকুর রহমান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুজিবুর রহমান মুজিবের নেতৃত্বে আজমেরিগঞ্জ উপজেলা শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। তাছাড়া ই-প্রেস নিউজ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি এশিয়ান টিভির ও একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক আব্দুল হান্নান এর নেতৃত্বে ব্রাহ্মন বাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলা শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। জামালপুরের উদ্যোক্তা ডা.আজাদ খানের নেতৃত্বে জামালপুর সদর, সিলেট জেলার উদ্যোক্তা সাংবাদিক রমজান আলী নয়ন এর নেতৃত্বে সিলেট সদরে, নীলফামারী জেলার উদ্যোক্তা সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম আতিকের নেতৃত্বে নীলফামারিতে ও ডিমলা উপজেলা (নীলফামারী), সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির আহবায়ক তাজিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ সহ সারাদেশে ই-প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করার খবর পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ই-প্রেস ক্লাবের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলুল কবীর বলেন,
পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেওয়ার এরূপ ঘটনা আর দ্বিতীয়টি নেই। তাদের অবদান ও আত্মত্যাগের ফলে যেমন রক্ষা পেয়েছে বাংলা ভাষার মর্যাদা, তেমনি রোপিত হয় বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বপ্ন-স্বাধীনতার চেতনা। বস্তত ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক পথ বেয়েই ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপোষহীন নেতৃত্বে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। ভাষা আন্দোলনের মহান শহীদদের বাঙালি জাতি ও বাংলাভাষী জনগোষ্ঠী চিরদিন কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করবে। ইউনেস্কো কর্তৃক এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির মাধ্যমে দিনটি বিশ্বের সব জাতি গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় ঐক্য ও বিজয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। অমর একুশের শিক্ষা হলো আমাদের আদর্শ,আমাদের ত্যাগ ও তিতিক্ষা। বাংলাদেশের অগনতি সূর্য-সন্তানেরা; যারা রাঙ্গিয়ে গেছে রাজ পথকে, গুড়িয়ে দিয়েছে শাসকের কালো হাতকে,উপেক্ষা করেছে রক্তিম শ্যেন-চক্ষুকে সেই অমর ভাইয়েরাই সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের অসীম প্রেরণার অফুরান উৎস।
সাংবাদিকদের মুখপত্র ই-প্রেস নিউজ এর নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক মাসুদ লস্কর বলেন,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হল ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রচারের পাশাপাশি মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও প্রচারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক মনোনীত একটি দিন।
মাতৃভাষাগুলি আমাদের পরিচয় গঠনে, সম্প্রদায়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাষা কেবল যোগাযোগের একটি মাধ্যম নয়; এটি আত্ম-প্রকাশের একটি হাতিয়ার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বাহক এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।
দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বব্যাপী অনেক মাতৃভাষা বিলুপ্তি ও মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন, বিশ্বায়ন, নগরায়ণ এবং ভাষা নীতির ফলে সংখ্যালঘুদের খরচে প্রভাবশালী ভাষাকে অগ্রাধিকার দেয়। ভাষাগত বৈচিত্র্যের এই ক্ষতি কেবল একটি সাংস্কৃতিক ট্র্যাজেডিই নয়, টেকসই উন্নয়ন এবং সামাজিক সংহতির জন্যও হুমকি।