তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) ডাঙাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সিডিউল মোতাবেক কোনো কাজ হচ্ছে না, রাঁতের আঁধারে ঢালায়, চিকন ও রডের পরিমাণ কম এবং নিম্নমাণের ইটের খোয়া ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে সিডিউল মোতাবেক কাজের দাবিতে এলাকার অভিভাকগণ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার ইউনিয়নের (ইউপি) ডাঙাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ভিতবিশিস্ট দুইতলা ভবন নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। এতে ব্যয় ধরা এক কোটি ৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, তিনি শোনেছেন ঠিকাদারী কাজ পেয়েছেন হেনা নামের ঠিকাদার। তার কাছে কিনে নিয়ে কাজ করছেন রাজশাহীর ঠিকাদার মাসুদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, সরেজমিন তদন্ত করলেই এসব অনিয়মের সত্যতা মিলবে। তিনি কাজের বিল পরিশোধের পূর্বে সরেজমিন কাজ পরিদর্শনের দাবি করেছেন। নির্মাণ কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিক বলেন, হেনার কাছে থেকে ১৮ লাখ টাকায় কিনে নিয়ে মাসুদ ঠিকাদার কাজ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক কবির মন্ডল বলেন, ভবন নির্মাণে নিম্নমাণের সিমেন্ট, ইট, চিকন রড ও বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। আবার সাটারিংয়ে পাইপের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এসবের প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার তার নামে ৩০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির মামলার হুমকি দিয়েছেন। ডাঙাপাড়া গ্রামের নাইমুল বলেন, এই ঠিকাদার ডাঙাপাড়া ও মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করছেন, দুটি ভবন নির্মাণেই অনিয়ম করা হচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মাসুদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হেনার নামে কার্যাদেশ আছে এটা তাদেরই প্রতিষ্ঠান তিনি নির্মাণ কাজ করছেন। এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, কাজের বিষয়ে তাদের করনীয় কিছু নাই, এটা দেখভাল করছেন উপজেলা এলজিইডি।এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, তিনি এখানো কোনো অভিযোগ পাননি। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।
সারোয়ার হোসেন
১৬মার্চ/২০২৩ইং
০১৭৬০-৮৫৭৯৮৮