জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি//-
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনও হয়েছে, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এখানকার মাটি সূর্যমুখী সহ বিভিন্ন ফসল চাষের উপযোগী হওয়ায় এমন ফলন পাওয়া যায়। কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ থাকায় এই এলাকার আরও অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এর বীজ থেকে উৎপাদিত তেলের চাহিদা বেশি। আর বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের ডকুপাড়া নামক গ্রামের মোহাম্মদ আল আমিন মিয়া তিনি ২৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছে। ভালো ফলন হয়েছে তার জমিতে। আল আমিন মিয়ার দেখা দেখি এই অঞ্চলের আরো অধিকাংশ কৃষক সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুকছে। এর কারণ কম খরচের এর ব্যাপক ফলন পাওয়া যায় এবং বাজারে এর বীজের বেশ চাহিদা ও দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হতে পারেন।
সূর্যমুখী চাষি কৃষক মো. আল আমিন মিয়া বলেন, আমরা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে সহযোগিতায় সূর্যমুখীর চাষ করেছি। তারা আমাদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও ওষুধ দিয়েছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় অনেক ফলন পেয়েছি। আশা করছি বাজারদর ভালো থাকলে লাভবান হতে পারবো। আগামীতে আরো বেশি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করবো।
কলাপাড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সূর্যমুখী ফুলের তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ,সার ও প্রয়োজনীয় কিটনাশক দিয়ে সহযোগিতা করেছি। কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। আমরা নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে যেয়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সূর্যমুখী থেকে তেল ও মৌমাছি থেকে মধু দুটোই আমরা লাভবান। আমাদের ভোজ্য তেল বেশির ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, দেশে যদি এই সূর্যমুখী প্রকল্প সফলতা পায় তা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও আমরা এই তেল রপ্তানি করতে পারব।
জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
কুয়াকাটা প্রতিনিধি
তারিখ :২৪-০৩-২০২৩ইং
০১৭৫৬৩৮৮৮১৪