রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিন বন্ধ রাখায় হাসপাতালে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।অভিযোগ পাওয়া যায়, রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে থাকা বেসরকারী ডায়গনেস্টিক সেন্টারে কোন এক্সরে টকনিয়াশিয়ন নেই। নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। হাসপাতালে আসা আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা রোগীদের এক্সরে করতে বললে।রোগীরা হাসপাতাল এক্সরে করতে চাইলে তাদেরকে হাসপাতালের বাইরে থাকা ডায়গনেস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্সরে করতে বলে চিকিৎসকরা।সেখানে এক্সরে করার পর দরিদ্র রোগীদের কাছ থেকে ৫শত টাকা থেকে ৮শত টাকায় আদায় করে ডায়গনেস্টিা সেন্টারের মালিকেরা। গতকাল বুধবার দুপুরে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায় এক্সরে মেশিন থাকা কক্ষের দরজার বাইরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িক ভাবে এক্সরে কার্যক্রম বন্ধ লেখা একটি কাগজ দেখা যায়।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে টেকনিয়াশন আজিম হোসেন বলেন, এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়নি। প্রিন্টার মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারনে এক্সরে করতে সম্ভব হচ্ছেনা। নতুন প্রিন্টার মেশিন পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। আক্রান্ত রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আবদুল শুক্কুরের পুত্র মফিজ (৫৫) এর সাথে কথা বললে মফিজ বলেন হাসপাতালে এক্সরে মেশিন সচল না থাকায় হাসপাতালের সামনে স্টার ল্যাব ডায়গনেস্টিক সেন্টার থেকে ৫শত টাকা দিয়ে এক্সরে করেছি। গত ৬ মাস পূর্বে এই ডায়গনেস্টিক সেন্টারে কোন কাগজ পত্র না থাকায় শীলগালা করে দেয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাম শিকদার।শীলগালা করে দেওয়া ডায়গনেস্টিক সেন্টার খুলে আবারো এক্সরে সহ বিভিন্ন পরিক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে প্রসঙ্গে ডায়গনেস্টিক সেন্টারের মালিক অরুন কুমার চৌধুরী বলেন আমার ডায়গনেস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স রয়েছে।এক্সরে টেকনিয়াশন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিজেই এক্সরে করি। এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুর আলম দীন বলেন, হাসপাতালের এক্সরে মেশিনের প্রিন্টার নষ্ট হয়ে গেছে গত ২ সাপ্তাহ পুর্বে। এক্সরে মেশিন ঠিক আছে।হাসপাতালের গেইটে স্টার ল্যাব ডায়গনেস্টিক সেন্টারে রোগীদের এক্সরে করা নিষেধ রয়েছে। নিষেধ পরও এই ডায়গনেস্টিক সেন্টারে রোগীদের এক্সরে কিভাবে করে তা খতিয়ে দেখা হবে।