তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব লুৎফর রহমানের আপন নাতি শাহরিয়ার শান্ত স্থানীয় এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখানোর কারনে উত্তমমধ্যম দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে,চলতি মাসের (৩ এপ্রিল)সোমবার তানোর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে।
এমন জঘন্য ঘটনার পর থেকে নায়েবের নাতি শাহরিয়ার শান্ত আর অফিসে আসেনি। অন্যদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে নায়েব লুৎফর রহমান উঠেপড়ে লেগেছে। যার ফলে নায়েব লুৎফর রহমানের দিকে উঠেছে নাতির এমন জঘন্য কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগ। শুধু তাই না নায়েবের নাতি শান্তর স্ত্রী সন্তান থাকার পরেও স্ত্রীকে তালাক করে সন্তানকে মা হারা করে করেছেন।
এতে করে শাহরিয়ার শান্তকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। এমনকি দ্রুত শান্তকে আইনের আওতায় আনা না হলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে এবং নানা নাতিকে চরম গণধোলায়ের আশংকাও রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার আমশো ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পিয়ন থেকে উঠে আসা দূর্নীতিবাজ লুৎফর রহমান। এঅবস্থায় নায়েব লুৎফর আউট সর্সিংয়ে উমেদার পদে কাজ করার সুযোগ দেন নাতি শাহরিয়ার শান্তকে। তিনি বিগত তিন বছর ধরে ভূমি অফিসে আউট সর্সিংয়ে কাজ করলেও নাতিকে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে রেখেছিলেন নায়েব। এই সুযোগে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমন কি অফিসের পার্শের কক্ষে ওই ছাত্রীকে নিয়ে প্রেম লীলাসহ নানা অপকর্ম করতেন শান্তু। সবকিছু দেখে নায়েব নাতিকে সাহস যুগাত। কারন শান্তুর স্ত্রী সন্তান আছে। তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে মরিয়া ছিলেন নানা। একারনে স্কুল ছাত্রী ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেম করার সুযোগ করে দেন। শান্তুর বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা এলাকায়, সে ফারুকের ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ,বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার নায়েবকে বলার পরেও কোন ব্যবস্থা নেয় নি। বরং উল্টো নাতির সাফায়ে ছিল। শুধু নাতিকে না এবার নানাকেও গণধোলাই দিতে পারে উত্তেজিত জনগন। কারন অফিস এখন দূর্নীতি দালালিসহ প্রেমলীলা ও অপকর্মের আতুর ঘরে পরিনত করেছেন নায়েব ও নাতি শান্ত।
এমনকি বৃহস্পতিবার ছুটির পর অফিসেই থেকে যেত শান্ত। তার নানার কারনেই এমন ঘটনা অফিসে ঘটেছে। পার্শের রুমে চকি, বিছানা, চেয়ার টেবিলও রয়েছে।
এবিষয়ে নায়েব লুৎফর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কোন কথা বলা যাবে না, যা হয়েছে সমাধান করা হবে বলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, এমন ঘটনার কেউ অভিযোগ করেনি,অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, আউট সর্সিং উমেদার হিসেবে কাজ করানোর জন্য প্রত্যায়ন দেওয়া হয়েছিল,এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।