রাউজান প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের রাউজানে প্রতিবেশীর কিল-ঘুষিতে মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া নামে ৬৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। বুধবার (১৯ এপ্রিল)সন্ধ্যা ৬টায় ইফতারের আগমুহূর্তে ইদ্রিস মিয়ার পাকা ভবনে টয়লেটের পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে কিল ঘুষি খেয়ে ঘরে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ইদ্রিস মিয়াকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলম বাড়ির বেলায়েত আলীর ছেলে। তিনি ৪ ছেলে ৩ মেয়ে সন্তানদের জনক। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আজিজুল হককে স্থানীয়রা ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। আজিজুল হকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। স্থানীয় লোকজন জানান, ইফতারের আগমুহূর্তে টয়লেটের পাইপ সঞ্চালনকে কেন্দ্র করে বাক-বিতন্ডার হয়। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ ইদ্রিসকে কিল ঘুষি মারে। পরে তিনি ঘরে চলে যান। কিছুক্ষণ পর লুটিয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। উত্তেজিত জনতা আজিজুল হককে মসজিদ সংলগ্ন একটি স্থানে আটকে রাখা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাকে সোপর্দ করা হয়। অভিযুক্ত আজিজুল হক একই এলাকার নুরুল হকের ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম কমান্ডার বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আমার কাছে গিয়েছিল। আমি পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছিলাম। আজ বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে বৃদ্ধকে কিল-ঘুষি মারলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা গেছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। নিহতের ছেলে মো. জালাল বলেন, টয়লেটের পাইপ সঞ্চালন লাইনের কাজ করার সময় বাবার সাথে প্রতিবেশী আজিজুল হকের কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাবাকে কিল মারেন আজিজুল। ঘরে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্যদিকে কিল-ঘুষি মারার কথা স্বীকার করেছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযুক্ত আজিজুল হকের স্ত্রী রাবিয়া আকতার। রাউজান থানার ওসি তদন্ত সিদ্দিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযুক্তকে স্থানীয় জনতা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ঘটনা পর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি৷ এখনো পর্যন্ত কেউ অঅভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।