এইচ এম আরিফ হোসেন:
অবৈধ ভাবে প্রকাশ্যে ফসলি জমির মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। চলছে ফসলী জমির মাটিকাটা উৎসব। ফলে কৃষি জমি পরিনত হচ্ছে পুকুর-ডোবায়। আর দিন দিন ফসলের উৎপাদন কমছে, বেকার হচ্ছে কৃষক, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত, গরিব হচ্ছে আরো গরিব।
আইন অমান্য করে এমনি কর্মকাণ্ড চলছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬ নং মৈশাদী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সাবেক ইউপি সদস্য কাসেম মিজি’র বাড়ির রাস্তার উত্তর পাশে মরহুম তাফাজ্জল হোসেন খানের ছেলে শৈবাল খানের নির্দেশে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে ভেকু দিয়ে মাটি খনন।
৮ মে সোমবার সরজমিনে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান এই জমিতে আজ থেকে মাস খানেক আগেও ফসল উৎপাদন করা হত। এই জমির পাশের জমি গুলোতে এখনো ফসল উৎপাদন হচ্ছে। জমির মালিক মরহুম তাফাজ্জল হোসেন খান। তার ছেলেদের নির্দেশেই এই ফসলি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন হচ্ছে । এতে করে যেমন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে, তেমনি পাশের ফসলি জমি গুলোর রয়েছে হুমকির মুখে। এরা খুব ক্ষমতার দাপট দেখায়। উপরের লেভেলের সাথে নাকি তাদের হাত।
স্থানীয় ভাবে কাজটির নেতৃত্ব দেন মপু গাজী, ও ভেকুর মালিক রুবেল। সারজমিনে সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখে মপু গাজী দিক বেদিক হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিতে থাকে। এই বিষয়ে মুঠোফোনে জমির মালিক মৃত তাফাজ্জল হোসেন এর ছেলে শৈবাল এর নিকট জানতে চাইলে সে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করে বরং ক্ষিপ্ত কন্ঠে বলেন আামাদের জমিতে আমরা মাটি কাটি। এই সময় তিনি মফু গাজীকে মুঠোফোনে নির্দেশ দিতে থাকে কিসের সাংবাদিক, তাদের ছবি তুলে রাখেন, আমি দেখে নিবো?
এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) চাঁদপুর সদর, মোঃ হেদায়েত উল্যাহ বলেন আমি খবরটি শুনার সাথে সাথেই ঘটনার স্থলে আমাদের লোক পাঠিয়েছি। কাজ এখন বন্ধ। জমির মালিক ফসলি জমি খনন করার জন্য কার কাছে অনুমতি নিয়েছে তার জন্য অফিসে ডেকেছি। অনুমতি না দেখাতে পারলে তার বিরুদ্ধে জরিমানা করা হবে।