রাউজান(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
রাউজানে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়া ডায়রিয়ায় এক নারী মারা গেছে। অনেকেই সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। রোগীর চাপে চিকিৎসক নার্স সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। খবর নিয়ে জানা যায় গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি গ্রামে মাহমুদা খাতুন(৪০) নামের ডায়রিয়া আক্রান্ত এক নারী মারা গেছে। দুই সন্তানের জননী মাহমুদা ওই গ্রামের তসলিম উদ্দিনের স্ত্রী। তার প্রতিবেশি লাকি আকতার(৪২) নোয়াপাড়ার বেসরকারি হসপিটাল পাইওনিয়ারে ভর্তি হয়েছে। পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের সজল দে নামের এক যুবক বলেছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত তার মাকে এই পর্যন্ত আটটি স্যালাইন দিয়েছে। এখনো সুস্থ্য হয়ে উঠেনি। ওই গ্রামে অন্তত আরো পাঁচ নারী পুরুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।গতকাল শুক্রবার নোয়াপাড়ার দুটি বেসরকারি হাসপাতাল পাইওনিয়ার ও কসমিকে গিয়ে দেখা গেছে দুটি প্রতিষ্ঠানে ডায়রিয়া রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকগণ। হাসপাতালের সিট ছাড়াও অনেককেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ফ্লোরে রেখে। রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সাপলঙ্গা এলাকার সেলিম উদ্দিন বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১২ মে সকালে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বেশি হওয়ায় মহিলা ওয়ার্ড, ওয়ার্ডের ফ্লোরে ও ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে ডাক্তারা। এই প্রসঙ্গে জানতে হাসপাতালে গেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, ডা: নুর আলম দীন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শিমুল বড়ুয়াকে পাওয়া যায়নি। আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কক্ষে চেয়ারে বসা ডা: ফাতেমা ইয়াসমিনকে দেখে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কতজন ডয়রিয়া রোগী রয়েছে জানতে চাইলে তিনি কোন তথ্য না দিয়ে প্রতিবেদক এর সাথে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি বলেন এখানে কেন, আসছেন। উত্তর এর প্রতিবেদক বলেন কত জন ডায়রিয়া ভর্তি আছে এই তথ্য নেওয়ার জন্য এসেছি। তিনি বলেন আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আগামী কাল আসেন। আজকে কেন আসছেন। উত্তর এর প্রতিবেদক বলেন,আজকে কি? আসা নিষেধ আছে নাকি?। এরপর তিনি প্রতিবেদককে কোন তথ্য দেয়নি। পরে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ চয়ন চন্দ্র বড়ুয়াকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১১মে ১১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা শেষে হাসাপাতাল ছেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এই হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে ১২জন। এরমধ্যেই ৫জন নারী, এক শিশু ও ৬ জন পুরুষ।এর বাইরে আর কোনো তথ্য নেই আমার কাছে।
আপডেট টাইম : শুক্রবার, মে ১২, ২০২৩, ১১০ বার পঠিত
