স্টাফ রিপোর্টার।।ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে যখন আতঙ্কিত পুরো দেশ ঠিক এমনই একটি সময়ে সরকারি ভাবে বন্ধ থাকা সত্বেও চাঁদপুরে সকল নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধঙ্গলি দেখিয়ে মহাবিপদ সংকেতের দিনেই পরিক্ষা নিলেন ওয়াই ডাব্লিও সিএ নার্সারী কতৃপক্ষ।১৪ মে রবিবার দুপুরে শহরের প্রান কেন্দ্র জোড় পুকুর পাড়ে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে গিয়ে ঠিক এমন চিত্র দেখা যায়। তবে বিদ্যালয় কতৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এদিন প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।এমন একটি মহাবিপদ সংকেতের দিনেই বিদ্যালয় খোলা ও পরিক্ষা নেওয়া নিয়েও অভিবাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।কোন কোন অভিবাবক মনেকরেন এধরণের সিদ্ধান্ত বিদ্যালয় কতৃপক্ষের মনগড়া ও হটকারী সিদ্ধান্ত তারাতো আগে থেকেই জানতো তারপরও কেন খোলা রাখলো।আজকে যদি সত্যি সত্যি মোখার তান্ডব শুরু হয়ে যেত। তাহলে শিক্ষার্থীরা কি বিপদে পড়তো না।আর মোখার প্রভাবে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ নেই গ্যাস নেই।শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিরওতো একটা বিষয় থাকে। তারা কি এগুলো ভাবে।আবার কোন কোন অভিবাবক মনেকরেন চাঁদপুরেতো এখনো পরিস্থিতি ভালো আছে।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পাপড়ি বর্মন জানান,বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর ৬৩২ জন ।আজকে পরিক্ষা দিয়েছে ৪০০ জন। সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সবার পরিক্ষা ছিলো না।তবে এদিন বিদ্যালয় খোলা নিয়ে তিনিও কিছুটা দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( আইসিটি ও শিক্ষা ) বশির আহমেদ বলেন,নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়তো বন্ধ রাখার কথা।আপনি একটু শিক্ষা অফিসের সাথে কথা বলেন।
তবে সচেতন মহল মনে করেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষের এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেও উচিত হয়নি। তারাতো জানতো বড় ধরনের একটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে তারা কিভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়।আজকে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এটিতো আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবানী। যদি হতো আর সেই পরিস্থিতিতে যদি কোন শিক্ষার্থী বড় কোন বিপদে পতিত হতো তখন তারা কি করতো।এছাড়াও আজকে সরকারি ভাবেও বন্ধ ছিলো। তারা কি সরকারি নিয়ম নীতি মানবে না।