স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরাক্কাবাদ বাজারের পশ্চিম পাশে বালিয়া সড়কে সরকারি গাছ কাটা হয়েছে, বহুতল মার্কেট নির্মান করে তাদের সুবিধার জন্য কোন প্রকার অনুমতি ও ট্রেন্ডার ছাড়াই কয়েক ঘন্টার মধ্যে সরকারি গাছ কর্তৃন করে গাছ সরিয়ে ফেলে, এমনকি কেউ যেন না বুঝতে পারে সেজন্য কর্তৃনকৃত গাছের গোড়া বালু দিয়ে ডেকে রাখে, বিষয়টি ফরাক্কাবাদ বাজারের মানুষ দেখতে পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে।
পরিবেশ ভারসাম্য ও জলবায়ূ পরিবর্তনের জন্য সরকার যেখানে গাছ রোপনের কথা বলেছেন, সেখানে ব্যাক্তি স্বার্থের জন্য সরকারি রাস্তার পাশের গাছগুলো কাটা হয়েছে।
জানা যায়, চাপিলা গ্রামের হাজী মোঃ সুলতান তালুকদার ফরাক্কাবাদ বাজারে বহুতল ভবনের নির্মানধীন কাজ চলমান রয়েছে, সে মার্কেটের জন্য সরকারি গাছ গুলো কেটে মার্কেটের সামনে ফাকা করে।
সুলতান তালুকদার সরকারি অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের জানান, ইউএনও অফিস থেকে অনুমতি নিয়েই কাটছে বলে তখন স্থানীয়দেও জানান। কয়েক ঘন্টার মধ্যে মার্কেটের সামনে থাকা তালগাছ, কড়ই গাছ কেটে মহত্বের মধ্যে সড়িয়ে নেন। কোন মানুষ যাতে এসে গাছের অস্থিত্বের সন্ধান না পায়।
তার জন্য গাছের গোড়ায় কয়েক ট্রাক বালু পেলে রাখেন, এরকম চরম প্রত্যারনার চিত্র দেখে স্থানীয় ও বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুলতান তালুকদারের ছেলে দেলোয়ার তালুকদারের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি সংবাদকর্মীদের কোন তথ্য না দিয়ে সংবাদকর্মীদের পরিচয় নিয়ে লাইন কেটে দেন।
এর কয়েক মিনিটের মাথায় ফরাক্কাবাদ
বাজারের সার ব্যবসায়ী নাছির ঢালী নামে একজন ফোন করে কেন সুলতান তালুকদারের ছেলেকে ফোন করা হয়েছে সংবাদকর্মীদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে বিভিন্ন পরিচয় দিতে থাকেন। এদিকে স্থানীয়রা নাছির ঢালী যে সার ব্যবসা করেন, তা সরকারি অনুমতি ও ডিলারশীপ রয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন স্থানীয়রা করেন।
এ বিষয়ে বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল্ল্যাহ পাটওয়ারী বলেন, তারা গাছ কাটার জন্য কয়েকবার আমার কাছে এসেছে, সরকারি গাছ আমি অনুমতি দেওয়ার সুযোগ না থাকায় তাদেরকে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনীক ভাবে নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনুমতি নিয়ে আসার জন্য বলেছি,এ ছাড়া আমি কিছুই জানিনা, কিভাবে গাছ কাটছে তারা বলতে পারবে, তবে গাছগুলো সরকারি রাস্তায় পাশে ছিল এটা অস্বীকার করার কারো সুযোগ নেই।
বাজারে লোকজনের কাছ থেকে শুনা যায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল উল্যাহ পাটওয়ারী ৫০ হাজার টাকা বিনিময় গাছ কাটার অনুমোদন দেন।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান রফিকুল উল্যাহ পাটওয়ারী সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই সব মিথ্যা ও বানোয়াট এবং আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক পিছনে সমালোচনা করে থাকেন। যেহেতু আমি ইউপি চেয়ারম্যান সকল জনগনের ইচ্ছা পূরন করতে পারিনি, তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর বনবিভাগ কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন জানান, গাছগুলো কাটার জন্য তারা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেন, সে আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি সরজমিনে গিয়ে গাছের মূল্য নির্ধারন করে দিয়েছি, তবে তারা ট্রেন্ডার ছাড়াই গাছ কেটেছেন বলে জানতে পেরেছি। আমরা গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার সিএ মামুন জানান, গাছ কাটার জন্য তারা এসেছিল, কিন্তু আমাদের অফিস থেকে কোন প্রকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। মৌখিক ভাবে ও বলা হয়নি।
সরকারের অঙ্গিকার গাছ লাগান পরিবেশ বাছান। কিন্তু দেশে কিছু লোভী প্রতারক জনপ্রতিনিধি আছেন সরকারের আইনকে ফাঁকি দিয়ে এই কাছ গাটার মৌখিক অনুমোদন দিয়ে থাকেন।