মোশারফ হোসেন ফারুক মৃধা:
ফরিদগঞ্জে আগুনে ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাঁই হয়েগেছে। উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা এলাকায় শুক্রবার (২১ জুলাই) গভীররাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে লিখিতভাবে বিচার প্রার্থনা করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাত ১০ টা নাগাদ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। শনিবার ভোররাতে স্থানীয়দের ডাক চিৎকারে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে দোকানের এসে দেখেন তাদের দোকান গুলোতে আগুন জলছে। এ সময় জরুরী সেবা নং (৯৯৯)এ কল দিলে ফরিদগঞ্জ সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
এ অগ্নিকান্ডে ৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো হলো শোল্লা এলাকার আব্দুর রশিদ বেপারীর ছেলে বেলায়েত হোসেন’র মুদিদোকান ও খাবারের হোটেল, একই এলাকার ইদ্রিস বেপারীর ছেলে দুলাল বেপারী’র ভ্যারাইটিজ স্টোর ও কালাম বেপারীর ছেলে জামাল হোসেন’র ফার্নিচারের দোকান।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী মো.বেলায়েত হোসেন বলেন, অগ্নীকান্ডের খবর পেয়ে দোকানে গিয়ে দেখি আমার দোকানে আগুন ঝলছে, এসময় দোকানের তালা খোলা ছিল। আমি মনে করি কেউ আগুনের সংযোজ দিয়েছে। আমি অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে ফরিদগঞ্জ থানায় বিচার প্রার্থনা করেছি।
ক্ষতিগ্রস্থ অপর ব্যবসায়ী দুলাল বেপারী ও জামাল হোসেন বলেন, তাদের দোকানে আগুন লাগার মতো কোন যন্ত্রাংশ ছিলনা। আমরা মনে করি কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন জানান অগ্নীকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। তবে কি কারনে আগুনের সূত্রপাত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান বলেন, অগ্নীকান্ডের ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানা ভুক্তভোগীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।