পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর পুরাতন রেলসেতুর পাশে প্রায় ৯ বছর আগে নির্মাণ করা হয় আরেকটি সেতু। আর এই সেতু দিয়ে পায়ে হেঁটে নদীর এপার ওপার পারাপারের জন্য রাখা হয় রাস্তা।
এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন নদীর দুই পাড়ের শতাধিক স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ হাজারো সাধারণ মানুষের চলাচল করে। কিন্তু এই সেতু এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির রডের রেলিংয়ের বিভিন্ন স্থানে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভেঙে যাচ্ছে। আর এই ভাঙা রডেই করা হয়েছে রঙের কাজ। সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাশের কিছু অংশে রডের রেলিং নেই। সেই রেলিংয়ের ভাঙা অংশের পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে আটকানো হয়েছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করেছে হাজারো মানুষ। অনেককেই বাঁশের রেলিং ধরে আসা যাওয়া করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেলসেতুর রডের রেলিং এর বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। নড়বড় অবস্থা গোটা সেতুর রেলিংয়ের। বা়ঁশ দিয়ে কে বা কারা রডের রেলিংয়ের সঙ্গে কোনমতে বেঁধে দিয়েছে। এতে সেতুটি ঝুঁকিতে থাকলেও রেলওয়ে কর্মীদের যেন এসব নজরে পড়ছেনা না। এমন অবস্থায় শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড়ের হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।
স্কুল শিক্ষার্থী রুপালী আক্তার ও কলেজ শিক্ষার্থী জেসমিন খানম জানান, প্রতিদিন তারা ঝুঁকি নিয়েই পায়ে হেঁটে সেতু পারাপার হন। অনেক সময় মনে না থাকার কারনে বাঁশের রেলিং ধরেই পারাপার হতে হয়।
সেতু দিয়ে চলাচলকারী আহাদুল কবির বলেন, আমি প্রায় সময়ই এই সেতু দিয়ে চলাচল করি। কয়েকদিন আগে রাতে সেতু পার হওয়ার সময় রেলিংয়ের ভর করে দাঁড়িয়েছিলাম। বুঝতে পারিনি যে এটি বাঁশ দিয়ে আটকানো। হঠাৎ যখন বুঝতে পারলাম তখন এটি প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থা। সামান্যের জন্য বড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাই।
আনিসুল হক নামে এক ডাক্তার জানান, সেতুটি দিয়ে চলাচল এখন বেশ ঝুঁকি রয়েছে। তাই দ্রুত সেতুর এই অবস্থা মেরামত করা প্রয়োজন। তাই দূর্ঘটনা ঘটার আগেই বা়ঁশ সরিয়ে নিতে হবে এবং দ্রুত সেতুর সম্পূর্ণ অংশ রড দিয়ে আটকে দেওয়ার জন্য রেলওয়ে কর্তপক্ষের পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশনের মাস্টার মাসুদ সরকার জানান, ভাঙা রডের রেলিংয়ে কে বা কারা বাঁশ দিয়ে বেঁধে দিয়েছে সেটি তাদের জানা নেই। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে।