মোশারফ হোসেন ফারুক মৃধা :
জন্মের পরে শেখ কামাল তার বাবা দেখতে পাননি, জাতির পিতা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যখন বাসায় আসলেন তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখমুজিবুর রহমানকে বাবা বলে ডাকতে দেখে, শেখ কামাল বর্তমান প্রধান মন্ত্রীকে বলেন ” হাসু দি হাসু দি আমি কি তোমার আব্বাকে আব্বা বলে ডাকতে পারি” কতটা কষ্টের চিত্র ছিল সেটি ৷ নিজের জন্মের পর বাবাকে না দেখতে পাওয়ায় বাবাকে চিনতেনই না শেখ কামাল। কতটা হৃদয় বিদারক ছিল ঘটনাটি, এই ছিল আমাদের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল৷ আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের পুরো পরিবারের রাজনীতি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সমান অবদান ছিল। তেমনি শেখ কামাল পড়াশোনা, রাজনীতি, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সমান ভাবে অবদান রেখেছেন। শেখ কামাল যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে আজকের এই উন্নয়নশীল বাংলাদেশ আমরা অনেক আগেই অর্জন করতে পারতাম।
আমাদের বাঙ্গালী জাতির পিতা শেখ মুজিব রহমান কে স্বপরিবারে হত্যা করা সহ স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে আওয়ামীগকে দমানোর জন্য বিভিন্ন কুচক্রী মহল এ মাসেই নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো, শেখ হাসিনা সহ পুরো আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামালা করে ২৪ জনকে হত্যা করা, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা করে আওয়ামীলীগকে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফরিদগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলো বলেন উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান আ্যডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান৷
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা চত্ত্বরে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসলিমুন নেছা’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর তারেক নাথ মল্লিক’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তসলিম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আজিজুন্নাহার, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহমুদুল হাসান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্যাহ তপদার, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব’র সাবেক সভাপতি নুরুন্নবী নোমান।