বিশেষ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় ০৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
৯আগষ্ট ইপিজেড থানাধীন এম আলী নগরস্ত এলাকায় অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য আসামী নুর মোহাম্মদ নয়ন (২৩), পিতা-ফারুক মাঝি, সাং-সল্টগোলা ক্রসিং,মোঃ সম্রাট (২৩), পিতা-মৃত মোঃ হানিফ, সাং-ব্যারিষ্টার কলেজ রোড, উভয়ের থানা-ইপিজেড, জেলা- চট্টগ্রাম এবং মোঃ রাহাদ (১৭), পিতা- আবদুল হাদি, সাং-পাঁচবাড়ি, থানা-বসুরহাট, জেলা-নোয়াখালী, বর্তমানে- ব্যারিষ্টার কলেজ রোড, সিরাজ বিল্ডিং, থানা-ইপিজেড, চট্টগ্রাম মহানগর’দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, যার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরণও পাল্টে যাচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। চট্টগ্রাম মহানগরীকে বিভিন্ন নামের কিশোর গ্যাং গ্রুপ কর্তৃক আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই, মাদক ব্যাবসা জিরো টলারেন্স এবং এরুপ কর্মকান্ডে লিপ্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আনার জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম মহানগর জুড়ে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় দৃষ্কৃতিকারী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইপিজেড থানাধীন এম আলী নগরস্ত একটি গ্যারেজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে নিভৃত স্থানে সমবেত হয়েছে। উক্ত তথ্যে আভিযানিক দল কিশোরগ্যাং সদস্যদের আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা নাম-ঠিকানা’সহ অকপটে স্বীকার করে যে, তারা সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নিমিত্তে একত্রিত হয়েছিল। এছাড়াও আকটকৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে তাদের নিকট হতে ধারালো ০২টি স্টীলের চাকু এবং ০১টি ধারালো খুর উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মূলত ইপিজেড থানা এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত’সহ প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে স্থানীয় এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজী, নিজেদের মধ্যে মারামারি, অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা যায়। এছাড়াও আরো জানা যায়, ধৃত আসামীরা পরস্পর একে অন্যের সহিত যোগাযোগক্রমে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে ইপিজেড থানা এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছে।
তারা সাধারণ মানুষসহ প্রাত্যহিক চলাচলরত বিভিন্ন শেণী পেশার মানুষদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভীতি প্রদর্শন এর মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বর্ণিত স্থানে সমবেত হয়েছিল বলে অকপটে স্বীকার করে।
আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামাত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আফসার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।