রাউজান প্রতিনিধি:
বন্যা পানিতে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ১হাজার ২২ হেক্টর ফসলী জমির আমন ধানেরা চারা , বীজতলা, শরৎকালীন শাক সব্জির ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। কৃষি অফিসের সূতে, ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ৩শত ৮৭.৫১ হেক্টর ফসলী জমিতে রোপন করা আমন ধানের চারা, ৪শত ৭৭ .৪শত ৫১ হেক্টর জমির আমন ধানের বীজ তলা, ১শত ৬৭. ৬ হেক্টর জমির শরৎকালীন শাকসব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের দক্ষিন হিংগলা এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যায় তাঁর দুই একর জমিতে রোপন করা আমন ধানের চারা সর্ম্পুণভাবে ক্ষতি হয়েছে । পানিতে ডুবে থাকার পর বন্যার পানি নেমে গেলে জমিতে রোপন করা আমন ধানের চারা পচে গেছে । রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের হাসান খীল এলাকার কৃষক নুরুল আলম বলেন, কান্দিপাড়ার পাশে ডাবুয়া খালের পাড় পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানিতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে ফসলী জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানির স্রোতে হাসান খীল, ছত্রপাড়া এলাকার বিপুল পরিমান ফসলী জমিতে রোপন করা আমন ধানের চারার উপর বালুচরে পরিণত হয়েছে। রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুম কবির বলেন, বন্যা পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানিতে ১ হাজার ২২ হেক্টর জমির আমন ধানের রোপন করা চারা, বীজতলা, শরৎকালীন শাক সব্জির ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তিনি আরো বলেন, রাউজানের কিছু কিছু এলাকায় ফসলী জমিতে এখনো আমন ধানের বীজতলা রক্ষিত রয়েছে । রক্ষিত বীজ তলা থেকে আমন ধানের চারা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা আবারো আমন ধানের চারা জমিতে রোপন করতে পারবে । অথবা নতুন করে আমন ধানের বীজতলা তৈয়ারী করে বীজতলা থেকে আমন ধানের চারা তুলে ক্ষতি হওয়া ফসলী জমিতে রোপন করতে পারবে । আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে আমন ধানের চারা রোপন করা যাবে।