বান্দরবানে গিয়ে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও ১১দিনে মেলেনি রাউজানের কলেজ ছাত্র শিবলী সাদিকের

 

শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
অপহরণকারীদের ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও সন্তান হৃদয়কে পাননি তার বাবা। গত ২৮ আগষ্ট রাতে শিবলী সাদিক হৃদয় (২০) রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের একটি মুরগী খামার থেকে অপহরণ করেন উপজাতীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী। অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। পরে কোনো সাড়া না পেয়ে গত ৩১ আগস্ট আবার ফোন করে দুই লাখ টাকা চায় তাঁরা।দাবি করা দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ ১ সেপ্টেম্বর দিয়ে বান্দরবান জেলা সদরের পূর্বনির্ধারিত জায়গায় গিয়ে দুজন লোকের হাতে টাকা দিয়ে আসেন হৃদয়ের বাবা। পরে অপহরণকারীরা তাদের বলে ছেলেকে ছেড়ে দিয়েছি। বাড়িতে চলে যাবে। কিন্তু ১১ দিন পরও পরিবার তাদের ছেলের কোনো খোঁজ পায়নি। অপহরণকারী কথা দিয়ে কথা রাখেননি বলে জানান হৃদয়ের বাবা। কলেজ শিক্ষার্থী হৃদয়কে অপহরণকারীরা মুক্তি দেয়নি। অপহরণ হওয়া কলেজ শিক্ষার্থী হৃদয় উপজেলার ৮নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়ার গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো: শফিক ড্রাইভারের ছেলে। এ ঘনার ১০ দিন পর পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে রাউজান থানায় মামলা করেন হৃদয়ের মা নাহিদা আকতার।রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাপমারা গ্রামের উহ্লাপ্রুমং মারমার পুত্র আছুমং মারমা(২৬) ও একই জেলার কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আমতলী পাড়া গ্রামের উষাচিং মারমার পুত্র উক্যথোয়াই মারমা (১৯) ।
জানা যায়, হৃদয় কদলপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেই পড়াশোনার পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন চৌধুরীসহ চারজনের মালিকানাধী একটি মুরগীর খামারে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় যে মুরগীর খামারে চাকরি করতেন সেখানে কয়েকজন উপজাতি চাকমা যুবকও চাকরি করতেন। এসব চাকমা যুবকদের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেখানে গত ২ মাস আগে চাকরি করা চাকমা যুবকদের সাথে তার বিবাদ সৃষ্টি হয়। পরে মুরগী খামারের মালিকেরা তাদের মিলমিশে করে দেন। হৃদয়ের মা নাহিদা আকতার বলেন, অপহরণের পর তার বাবার মোবাইলে একটি ফোন আসেন। ফোনে ছেলে হৃদয় বলে মা আমাকে রাত ১২টার দিকে কিছু মানুষ আটক করে নিয়ে আসে। প্রায় ১২ ঘন্টা গাড়ি চালিছে। আপনারা ফোন দিয়েন না। ফোন দিলে আমাকে মেরে ফেলবে বলছেন। এরপর আবার আমার মোবাইলে কল দিয়ে বলে ছেলেকে পেতে হলে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। না হলে তোর ছেলেকে জীবিত আর পাবিনা। পরে তাদের বুঝিয়ে আমরা ২ লাখ টাকায় রাজি করি। তাদের কথা মতো টাকা দিলেও তারা আমার সন্তানকে ফেরত দেনি।রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার অজয় দেব শীল বলেন, দুই অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। মূল অপহরণকারীকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শনিবার (সন্ধ্যা ৬:২১)
  • ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০