শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
বর্তমান সরকারের শাসন আমলে রাউজানে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন ৮৩৯জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দৃষ্টিনন্দন সেমিপাকা ঘরসহ দুই শতক খাস জমি উপহার দেন। ৮৩৯ জন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া জমি ও পাকা ঘর পেয়ে খুশি।পরিবার পরিজন নিয়ে স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে তাদের চোখে মুখে আনন্দের জোয়ার দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে,রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের এয়াসিন নগর, ডাবুয়া ইউনিয়নের সুড়ঙ্গা,কলমপতি, চিকদাইর ইউনিয়ন ও রাউজান পৌরসভার ওয়াহেদের খীল,ফকির তকিয়া পাড়া, করিম নগর,রাউজান ইউনিয়নের পূর্ব রাউজান, কদলপুর ইউনিয়নের শমশের পাড়া, জয়নগর, পাহাড়তলী ইউনিয়নের উনসত্তর পাড়ায় নির্মাণ করা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও ঘরে দলিলসহ তাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। রাউজানের কদলপুর শমশের পাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়া ভুমিহীন আবদুর রহমান ও তার স্ত্রী র্ঝণা আকতার বলেন, আমাদের কোনো বসতভিটা কিংবা মাথা গোঁজার কোনো ঠিকানা ছিল না।তিন ছেলে সন্তান নিয়ে কদলপুর শমশের পাড়ায় কামাল চৌধুরীর খামার বাড়ীতে বসবাস করতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে পাকা বাড়ী ও জমি দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দু-হাত তুলে মোনাজাতের মাধ্যমে বলবো শেখ হাসিনাকে অনেকদিন বাঁচিয়ে রাখো। আবারও শেখ হাসিনা সরকার যেন ক্ষমতায় আসে সেই জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছি এবং রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশ্রয়নণ প্রকল্পে বসবাসকারী দরিদ্র ভুমিহীন পরিবারের সদস্যরা কেউ দিনমজুর,কেউ কৃষি শ্রমিক, কেউ বর্গা জমিতে চাষাবাদ, কেউ রিক্সা কিংবা অটোরিক্সা চালিয়ে সংসার চলায়। পাশাপাশি মহিলারাও কেউ কেউ বেতের পাটিসহ নানা সামগ্রী তৈরি, হাঁস-মুরগি ও গরু ছাগল লালনপালন করে স্বামীর সংসারে যোগান দেন। তাদের এসব আয়- রোজগার দিয়ে চলে জীবিকা নির্বাহ।রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় রাউজান উপজেলা প্রশাসন রাউজানে জবরদখলে থাকা সরকারী খাস জমি থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে ৮৩৯টি ঘর নির্মান করে ৮৩৯ ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনঃবাসন করা হয়েছে। ঘরগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে লাল ও সবুজ রঙের টিন। দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘরগুলোতে রয়েছে রান্নার ঘর, খোল বারান্দা, শৌচাগার ও বিদ্যুতের লাইন। বসানো হয়েছে গভীর নলকূপ, খনন করা হয়েছে পুকুর।