বিশেষ প্রতিনিধি :
দেশের ১কোটি সুবিধা বঞ্চিত তাঁতীদের সংসদে প্রতিনিধিত্ব দেওয়ার দৃঢ়তার প্রত্যয়ে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যক্ষ নূর এ খোদা মনজু।
দেশে তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত তাঁতী এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় ১ কোটি জনগণ রয়েছে। বাংলাদেশের তাঁত শিল্পের সমগ্র বিশ্বে কদরও কম নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ তাঁত শিল্প উন্নয়নের জন্য অনেক ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। নীরিহ সুবিধা বঞ্চিত তাঁতীদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবী এবং করণীয় নিয়ে মহান সংসদে কথা বলার জন্য একজন প্রতিনিধি হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫(ধুনট-শেরপুর),আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথা নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রার্থী হতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন বাংলাদেশ তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর আইন কলেজের অধ্যক্ষ খান নূরে খোদা মনজু।
সততা ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দলের সকলের কাছে সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁতীদের বিষয়ে বিভিন্ন যৌক্তিক দাবী নিয়ে তিনি দলীয় ফোরাম সহ বিভিন্ন সভা-সেমিনার,টিভি টকশোতে কথা বলতে দেখা গেছে। সম্প্রতি খান নূরে খোদা মঞ্জুর লিখা দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর একটি হলো- “গতিশীল আওয়ামীলীগের গতিশীল রাজনৈতিক ধারা” অপরটি হল “তাঁতী ও বস্ত্রখাত উন্নয়ন কৌশল” উক্ত বই দুটি বিভিন্ন সরকারি,বে-সরকারি ও সায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে স্থান লাভ করেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার বিশ্ব হরিগাছা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাহার পিতা মরহুম বাহাদুর আলী খান ছিলেন একজন জমিদার পরিবারের সন্তান ও উচ্চ শিক্ষিত সমাজ সংস্কারক। নুরে খোদা মঞ্জু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজি সাহিত্যের উপর স্নাতক ও স্নাতকত্তোর ডিগ্রি লাভ করেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এল.এল.বি ও এল.এল.এম ডিগ্রি অর্জন করেন। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও তিনি একজন সফল ব্যক্তি। ওনার এলাকায় বিশ্ব হরিগাছা বাহাদুর আলী মাদ্রাসার তিনি প্রতিষ্ঠাতা।
তার নামে খান নূরে খোদা কৃষি মহিলা কলেজ নামে একটি প্রস্তাবিত কলেজ প্রতিষ্ঠা চলমান রয়েছে। এছাড়াও এলাকায় বিভিন্ন মাদরাসা,স্কুল,মসজিদ সহ হরিগাছা বাহাদুর আলী মাদরাসার তিনি প্রতিষ্ঠাতা। তার নামে খান নূরে খোদা কৃষি মহিলা কলেজ নামে একটি প্রস্তাবিত কলেজ প্রতিষ্ঠা চলমান রয়েছে। এছাড়াও এলাকায় বিভিন্ন মাদরাসা, স্কুল, মসজিদ সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ক্ষেত্রে তার অনন্য অবদান রয়েছে। বর্তমানে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান সহ ব্যপকভাবে গণ-সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপিতি কুদরতে খোদা জুয়েল বলেন-ব্যক্তি হিসেবে খান নূর এ খোদা মনজু একজন নিঃস্বার্থের সমাজ সেবক,সৎ,আদর্শবান উচ্চ শিক্ষিত রাজনীতিবীদ। দূনীতির সাথে তিনি কখনো আপোষ করেননি। একজন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে উনাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রদান করলে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত যুব, ছাত্র সমাজ সহ এলাকার সাধারণ জনগন তাকেই সমর্থন দিবেন। এলাকায় আমরা উনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি।
অপরদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশি অধ্যক্ষ খান নূরে খোদা মনজু বলেন আমার কোন পারিবারিক পিছুটান নেই। আমি নিঃসন্তান আমার অধিক এবং অতিরিক্ত টাকারও প্রয়োজন নেই। পৈত্রিকভাবে যতটুকু সম্পদ রয়েছে তা যথেষ্ট। দলের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড আমাকে একজন সৎ, আদর্শ, নীতিবান ব্যক্তি হিসেবে জানেন। আমি আমার বাকী জীবন বগুড়া-৫ (ধুনট-শেরপুর) আসনের সাধারণ জনগন ও আমার তাঁতী সমাজের জন্য উৎসর্গ করতে চাই। সারা দেশে ৬০০০ (ছয় হাজার) শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী প্রতিষ্ঠা ও একটি বস্ত্র, তাঁত ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মধ্যে তাঁতী ও বস্ত্রখাঁত সংশ্লিষ্ট সকলকে দারিদ্র বিমোচন ও স্বনির্ভর বস্ত্র,পাট ও রেশন শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন সাধন করা আমার লক্ষ্য।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি আমার নির্বাচনী এলাকা ধুনট-শেরপুর,বগুড়া-৫ কে একটি আধুনিক স্মার্ট আসনে রূপান্তরিত করবো এ আমার প্রত্যয়।