চাঁদপুর জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭২ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর রিনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

চাঁদপুর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের দিকনির্দেশনায়, সহকারী পুলিশ সুপার(কচুয়া সার্কেল) জনাব মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু ও অফিসার ইনচার্জ, শাহরাস্তি থানার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রিনা আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামী (ভিকটিমের স্বামী) হাবিবুর রহমান খোকন (৪৫) কে ২০/১১/২০২৩ইং তারিখ সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহরাস্তি থানাধীন টামটা উত্তর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রাম হতে গ্রেফতার করে চাঁদপুর শাহরাস্তি থানার একটি চৌকস দল।

গত ১৭/১১/২০২৩ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.০৫ ঘটিকার সময় শাহরাস্তি থানাধীন টামটা উত্তর ইউনিয়নের সুরসই গ্রামে একটি নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। আসামী হাবিবুর রহমান খোকন তার নব বিবাহিতা স্ত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামী হাবিবুর রহমান খোকন (৪৫) শাহরাস্তি থানাধীন সুরসই গ্রামের লুৎফুর রহমান এর বড় ছেলে এবং নিহত রিনা আক্তার (২৫) শাহরাস্তি থানাধীন টামটা গ্রামের বিল্লাল হোসেন এর মেয়ে। ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান খোকন আত্মগোপন করে। ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর চাঁদপুর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে কচুয়া সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু এর সার্বিক তত্বাবধানে এবং শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এর নেতৃত্বে শাহরাস্তি থানা পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অদ্য ২০/১১/২০২৩ইং তারিখ সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহরাস্তি থানার একটি আভিযানিক দল শাহরাস্তি থানাধীন টামটা উত্তর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামী হাবিবুর রহমান খোকন (৪৫) কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামী হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। উক্ত আসামীর দেওয়া তথ্যমতে নিহত রিনা আক্তার এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আসামীর পাশের বাড়ীর পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ঘটনার অনুমান ০২ মাস ‍পূর্বে আসামী হাবিবুর রহমান খোকন এর সাথে রিনা আক্তারের বিবাহ হয়েছিল। বিবাহের পর হতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সর্ম্পকের অবনতি ঘটে। গত ১৭/১০/২০২৩ইং তারিখ ভিকটিম রিনা আক্তার কাউকে কোন কিছু না বলে শ্বশুর বাড়ী হতে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। গত ১৭/১১/২০২৩ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০২:০০ ঘটিকার সময় রিনা আক্তার স্বামীর বাড়ীতে আসলে আসামী হাবিবুর রহমান খোকন এতদিন কোথায় ছিল জিজ্ঞাসা করলে উভয়ের মধ্য তর্কবির্তক হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আসামী হাবিবুর রহমান খোকন উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রী রিনা আক্তারকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শনিবার (সকাল ১১:৫৫)
  • ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১