চাঁদপুর শহরের মিশন রোডের আল-মানার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তানভীন (২৮) নামের প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । তবে সিজারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে প্রসূতির ।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতালে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত তানভীন সদর উপজেলার মহামায়া এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার মোঃ আলী জিন্নাহের স্ত্রী। ঢাকা একটি ডেইরি ফার্মে চাকুরী করেন।
জানা যায়, চাঁদপুর শহরের মিশন রোড এলাকার আল-মানার হাসপাতালে প্রসব ব্যাথার কারনে তানভীন কে ভর্তি করানো হয়। পরে ডাঃ রোওশাবা নাসরিন (রুমু) সিজার করান। সিজার করার সময় প্রসূতি তানভীন মৃত্যু বরন করলেও পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিছুক্ষন পর রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত হলে ডাঃ রোওশাবা নাসরিন (রুমু) ষ তাড়াহুড়া করে হাসপাতাল ত্যাগ করে। ঘটনাটি ধামাকা দিতে পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময় রোগীর স্বজনদের সাথে বৈঠকে বসে ৫ লক্ষ টাকা রফাদফা করে । তাড়াতাড়ি দাফনের জন্য প্রসূতিকে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। একপর্যায়ে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের প্রবেশ গেইটের দরজার গ্লাস ভাংচুর করে। এদিকে এর পূর্বেও এই চাঁদপুর আল-মানার হাসপাতালে সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এবং সেই ঘটনাটি ওই পরিবারকে ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ধামাচাপা দেওয়া হয়। হাসপাতালের ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসা ও প্রতিপক্ষের অবহেলায় প্রসতি স্ত্রী তানভীন এর মৃত্যুতে
স্বামী মোঃ আলী জিন্নাহ কান্না কন্ঠে বলেন, তারা আমার স্ত্রীকে মাইরা পালাইছে আমি এর বিচার চাই
সিজারের পর আমার বাচ্চাকে বেডে রেখে চিকিৎসক ও নার্স সবাই পালিয়ে গেছে। আমার সন্তানরা মা হারা হয়ে গেলরে।
তবে এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ডাঃ রোওশাবা নাসরিন (রুমু)র মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। যে কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবাই হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্রে সরে গেছে । রিসিপশনে জিজ্ঞাসা করলে তারা কেউ বলছেন বাইরে আছে । মালিক পক্ষের একজনকে পেলে মৃত্যুর খবর জানতে চাইলে তিনি বলছেন বিষয়টি সূরা হয়ে গেছে তাদের পরিবারের সাথে। এদিকে অনেকে জানিয়েছে চাঁদপুর আল মানার হাসপাতালে কয়েক মাস পর পরই এ ধরনের ঘটনা ঘটে । আর তারা মোটা অংকের টাকায় বিনিময় পরিবারদের ম্যানেজ করে নেয়। হাসপাতলে প্র্যাগনেসি রোগী আনলেই তারা
বলে সিজার করতে হবে। অনেক রোগী সিজার করতে গিয়ে ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসা ও নার্স অথবা কতৃপক্ষের অবহেলা অনেক রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। এই চলছে বেশ কিছু হাসপাতাল। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বিষয়টি নজর দিয়ে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে অনেকে মনে করছেন।