এস আর শাহ আলম:
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোতালেব জমাদারকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করা হয়েছে। দলীয় নেতা হত্যা মামলার আসামি হলেন দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটোয়ারী,, বিগত ৪ বছর আগের ঘটনাকে সামনে এনে এই মামলা করলো নিহতের সন্তান।
ঘটনার সুএে বুধবার ১৮ ই সেপ্টেম্বর দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মোতালেব জমাদারের ছেলে আবু তালেব জমাদার বাদী হয়ে মামলা টি দায়ের করেন,
মামলায় আসামী করা হয় হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৭৪ নেতাকর্মীকে। এর মধ্যে ২৪জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামী ৫০জন।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, মামলার আসামী নুর হোসেন ও তার পিতা মোতালেব জমাদার সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। তৎকালীন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি নুর হোসেনকে মনোনয়ন দেন। আর এই প্রবীণ নেতা মোতালেব জমাদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এটাকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। নুর হোসেন তার লোকজনসহ নির্বাচন প্রচারণাকালীন মোতালেব জমাদারকে হাতুরে দিয়েন মারধর করেন। তাতে তিনি মাথায় পচন্ড রক্ত খরন হলে গুরুতর অবস্হায় তাকে ঢাকায় রেফার করলে দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়ীতে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর মৃত্যু বরণ করেন। তবে নুর হোসেন প্রভাবশালী হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন মামলা করতে পারেননি।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাহন খান বলেন, আসামী পক্ষ হাসিনা সরকারের প্রভাশালী লোক ছিলেন। পরিবারের নিরাপত্তাহীনতায় এমন মর্মান্তিক হত্যার ঘটনায় মামলা করতে পারেননি এবং মামলা করতে দেরি হয়েছে। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আশা করি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাদী সঠিক বিচার পাবেন।
এদিকে সুএে জানায় একমাএ নির্বাচন কে কেন্দ্র করেই মোতালেব জমদার কে মিত্যুর কোলে হেলে পড়তে হয়েছে, বিগত বছরে শিক্ষা মন্ত্রীর প্রভাবেই হাইমচর উপজেলায় এক নায়কন্ত রাজত্ব করেছেন নুর হোসেন পাটোয়ারী, যার ভয়ে এলাকার সুশীল সমাজ সহ দলীয় নেতা কর্মিরা মুখ খুলে সত্য কথা বলা দূরের কথা সে এবং তার দলীয় লালীত পালিত লাঠিয়াল বাহীনি দিয়ে হামলা করাতেন, শুধু তাই নয়, একের পর এক সাবেক মন্ত্রীর ছএ ছায়ায় নানাহ অপকর্ম সহ মানুষের ভোটের অধিকার হনন করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিহা জানিয়ে এলাকাবাসি বলেন।