নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ ‘‘শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতিসহ সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড বেতন নির্ধারণ করাসহ প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাণের দাবী আদায়ের লক্ষে চাঁদপুরে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস সংলগ্ন ষোলঘর সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর সদর উপজেলা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষকদের এই দাবী নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর জেলা সভাপতি মোস্তফা কামাল বাবুল, চাঁদপুর সদর উপজেলা সভাপতি মো. ফররুখ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন পাটওয়ারীসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ করেন। পড়াশুনা শেষ করে মহৎ পেশায় নিয়োগ পাওয়া একজন সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে মাত্র ১১হাজার টাকা বেতন গ্রেডে সর্বসাকুল্য ১৭হাজার ৬৫০টাকা পায়। মাসিক এ বেতনে সংকুলান না হয়ে অনেক ক্ষেত্রে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে হতাশা ও মনঃকষ্ট নিয়ে যাপিত জীবন অতিবাহিত করেন। মাসিক এ বেতন দিয়ে কখনো উন্নত জীবন মান সম্ভব নয়। আর এ কারণেই মেধাবীরা প্রাথমিক শিক্ষকতা পেশায় না এসে অন্য পেশায় ছুটছেন। নোবেল বিজয়ী বীরের জাতি, আমাদের আশা আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক, নোবেল বিজয়ী মাননীয় উপদেষ্টা বৈষম্যবিহীন বিনির্মাণে দৃঢ় প্রত্যয়ী। উন্নত, সুখী, সমতার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রাথমিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও স্মাট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাথমিকের শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আশু প্রয়োজন।
অতীব পরিতাপের বিষয় সাবেক স্বৈরাচারী সরকার ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর ঘোষণা করলেও আজ পর্যন্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতার আমাদের কাঙ্খিত ১০ গ্রেড বেতন স্কেল দেয়নি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা প্রধান শিক্ষক পদটি ১০ম গ্রেডের পরিবর্তে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করণের দাবী করছি। প্রাথমিকের সকল পদে পদোন্নতি থাকলেও ১৯৯৪ সালের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদটি ব্লক করে রাখা হয়েছে। নিয়োগ বিধি সংশোধনপূর্বক শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি চান শিক্ষকরা।