মোঃ হোসেন গাজী।।
সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও আজ ভোরে হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড়- তুফান ও বৃষ্টি পাত শুরু হয়। এতে সদর উপজেলা ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে মদনা গ্রামে মোঃ ফজলুল হক গাজীর দুটি বসত ঘরের উপর হঠাৎ মহুর্তের মধ্যই ঝড় এসে মোটা কড়ই গাছটি ভেঙ্গে পড়ে গিয়ে ২টি বসত ঘর একেবারেই শেষ হয়ে যা। অল্পের জন্য রক্ষা পেল ঘরে থাকা একটি পরিবার।
২১ মে শনিবার ভোরে সাবেক মেম্বার আঃ মান্নান গাজী বাড়িতে ঝড় তুফানে গাছ ভেঙ্গে দুটি বসত ভেঙ্গে যাওয়া খবর পাওয়া যায়।নিঃস্ব হয়ে গেল অসহায় পরিবারটি। ভূক্ত-
ভোগী- ফয়জুল হক গাজী বলেন,প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে থাকি, ভোর না হতেই ঘুমে থাকতেই হঠাৎ মহুর্তের মধ্য কাল বৈশাখী ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। এতে ঘরের পাশে থাকা একটি মোটা কড়ই গাছটি পড়ে দুটি বসত ভেঙ্গে যায়। ঐ ঘরে থাকা আমার বড় ছেলে,বউ,নাতিন দেরকে বাড়ির সকলের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্বার করি।এখন থাকার মত ঘর নেই। থাকবো কেথায়। এসময় ফজলুল হকের বড় ছেলে সাদ্দমা গাজী বলেন,ঘুমে থাকা অবস্থায় ভোরে হঠাৎ করে ঝড় তুফান শুরু হয়। মহুর্তের মধ্যই গাছটি পড়ে আমাদের পাশাপাশি থাকা দুটি ঘর ভেঙ্গে যায়। আল্লাহর অশেষ মেহের বানীতে আমরা রক্ষা পেলেও এখন থাকার মত ঘর নেই। বাবা-মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান নিয়ে এখন কোথায় আশ্রয় নিবো জানিনা। এসময় ফজলুল হক গাজী ও তার ছেলে সাদ্দাম কান্না কন্ঠে বলেন,যদি একটু সহযোগিতা পেতাম আমাদের চেয়ারম্যান খানজাহান আলী কালু পাটওয়ারী ও ইউনওর স্যারের কাছ থেকে তাহলে অনেক উপকৃত হতাম। এসময় জয়নাল গাজী,আল আমিন হেসেন,বাদসা গাজী সহ স্থানীয়রা জানান,ভোরে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় এসে গাছে পড়ে ফজলুল হক গাজীর দুটি বসত ঘর ভেঙ্গে যায়। আমরা শুনে তাৎক্ষনিক বাড়ির সকলের সহযোগিতায় ভাঙ্গা ঘরের ভিতর থেকে তাঁদের কে উদ্বার করি।আল্লাহ রক্ষা করছে তাদের কে।
এবিষয় ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান কালু পাটওয়ারী বলেন, সকালে জয়নাল গাজী,আলামিন নামে কয়েজন স্থানীয়রা আমাকে বসত ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি অবগত করছে,আমি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি আমি ইউনও ম্যাডামের সাথে যোগাযোগ করে অসহয়া পরিবারটির জন্য আমার সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।