শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর পানি আবারো বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ৫২: ৬০ সেন্টিমিটার, বর্তমান পানি প্রবাহ ৫২:৬৭ সেন্টিমিটার। উজান থেকে নেমে আসা পানি, পাহাড়ী ঢল ও গত কয়েকদিনের অনবরত বৃষ্টিপাত উক্ত নদীর পানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার তিস্তা তীরবর্তী এসব এলাকায় গিয়ে দেখা যায় হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তিস্তা নদী কবলিত চর এলাকার লোকজন হাঁস, মুরগি, গরু ছাগলসহ গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছে। এবারের বন্যায় গত কয়েকদিন ধরে পানি উঠানামা করছে। এতে জেলার ৫ উপজেলার ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, শুধু আমার ইউনিয়নে সাড়ে ৩ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তাহলে বাকি অন্য ইউনিয়নে আরও হাজার হাজার পারিবার পানি বন্দি আছে। মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়তে থাকায় আতংকে নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে তিস্তা তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষজনের।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহ্ জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী ৯ ইউনিয়নের ১১,৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এবারে দু’দফায় ১৪,৩০০ পরিবারকে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। আবারো তালিকা তৈরি করে জেলা ত্রাণ দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে।
পাউবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ দৌলা জানান, গত কয়েকদিনে তিস্তা নদীর পানি উঠানামা করেেছ।বুধবার তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজির হোসেন বলেন, নদীপাড়ের মানুষজনের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া রয়েছে।