পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের অধীনে চার ইউনয়িনে চারটি ও ঘোড়াশাল পৌরসভায় একটিসহ মোট পাঁচটি কিশোর-কিশোরী ক্লাব গড়ে উঠেছে। এখানে প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সপ্তাহে দুই দিন গান, কবতিা আবৃত্তি ও জেন্ডার বিষয়ে শিখছেন শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে সমাজসচেতন হচ্ছেন তারা। বাল্যবিয়ে, মাদকবিরোধী নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করছেন ক্লাবের সদস্যরা।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার রেহানা পারভীন জানান, ২০ জন কিশোর ও ১০ জন কিশোরীসহ মোট ৩০ জন কিশোর-কিশোরী নিয়ে গঠন করা হয়েেছ প্রতিটি ক্লাব। ক্লাবে উল্লেখিত পাঠদানের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এর মধ্যে দুই জন পুরুষ ও ৮ জন নারী শিক্ষিকা রয়েছেন। তদারকির জন্য রয়েছেন এক জন জেন্ডার প্রমোডর, এক জন ফিল্ড সুপারভাইজার এবং কো-অডিনেটর হিসেবে স্ব স্ব ওয়ার্ডের এক জন ইউপি সদস্য।
এদিকে কাজের সার্বক্ষণিক তদারক ও দেখভাল করেন পলাশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার রেহানা পারভীন। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিকেলে দুই ঘণ্টা করে ১১ থেকে ১৮ বয়সের ক্লাবের সদস্যরা শিখছে গান, কবিতা আবৃত্তি জেন্ডার বিষয়সহ নানা বিষয়। তাছাড়া প্রতি মাসে দুই দিন তাদের কারাতেও শিখানো হয়।
সরেজমিনে উপজলোর গজারিয়া ইউনিয়র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাবে গিয়ে দেখা যায়, কিশোর-কিশোরীরা মনোযোগ সহকারে গান শিখছেন। এখানকার শিক্ষিকা অর্পা সরকার জানান, এই ক্লাবের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শত ভাগ। শেখার খুব আগ্রহ এখানকার কিশোর-কিশোরীদের।
শিক্ষার্থী মুরাদ ফকির, সিয়াম শেখ, সায়মন, সায়ন, অনন্ত, সাদিয়া, মিম, মৌমিতা, সুলতানা ও পাপিয়া বলনে, আমরা আনন্দ করে গান, কবিতা আবৃত্তি শিখছি। ফলে যে কোন প্রতিযোগিতায় এখন আর আমরা আর ভয় পাই না। আমাদের প্রতিষ্ঠানেও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ভালো করছি।
উপজলোর গজারিয়া ইউনিয়র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাস্টার্স পাশ করা কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিক্ষিকা সুরাইয়া আক্তার ও মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষিকা অর্পা সরকার জানান, তারা নামে মাত্র সম্মানিতে এই ক্লাবে শিক্ষকতা করছেন। তবে কিশোর-কিশোরীদের শিখাইতে পেরে ভালো লাগছে।
পলাশের ডাংগা ইউপি চেয়ারম্যান সাবের উল হাই জানান, কিশোর-কিশোরী ক্লাব আরো বাড়ানো দরকার। এই ক্লাবের মাধ্যমে তারা জানতে পারছে ৯৯৯ কল দিলে কী হয়। কী কী সরকারি সুযোগ-সুবিদা রয়েছে তাও জানতে পারছে।
এব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার রেহানা পারভীন জানান, ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পলাশের কিশোর- কিশোরী ক্লাব। নামমাত্র সম্মানিতে শিক্ষিক-শিক্ষিকারা শিক্ষা দানের মহৎ কাজটি করে চলেছেন। তাছাড়া এসব ক্লাবে নিয়িমিত তদারকি করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কোন ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।