পিরোজপুর প্রতিনিধি :
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব এর ৯২ তম জন্মদিন উপলক্ষে পিরোজপুরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বাদআছর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর ১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম এ আউয়াল, সহ-সভপতি সৈয়দ শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কানাই লাল বিশ্বাস, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফিরোজ, সদস্য তৌহিদুল ইসলাম হিরু, সদস্য মতিউর রহমান সরদার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিকদার মন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদউল্লাহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মিরন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইরতিজা হাসান রাজু, জেলা স্বেচ্ছাসেবলীগের সভাপতি রাসেল পারভেজ রাজা, সাধারণ সম্পাদক সুমন সিকদার সহ জেলা, পৌর, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পিরোজপুর ১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম এ আউয়াল বলেন, বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ মুজিবের বাঙালি জাতির জনক হয়ে ওঠার পেছনে ফজিলাতুন্নেছার অবদান, অনুপ্রেরণা ও আত্মোৎসর্গ অনস্বীকার্য। তার কারণেই একটি জাতির মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন বপণ করে এর স্বাদও এনে দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে পেছন থেকে কাজ করেছেন শেখ মুজিবের প্রিয় রেণু।
বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী লেখার পেছনেও মূল প্রেরণা ও উৎসাহ ছিল বেগম ফজিলাতুন্নেছার। বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে সেই অবদানের কথা স্মরণ করেছেন প্রথমেই।জীবন সংগ্রামের সব কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করেও তিনি পরিবার সামলেছেন বেশ গুছিয়ে।সবকিছুর পরও তিনিই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতির শ্রেষ্ঠ ছায়াসঙ্গী। স্বৈরশাসক আইয়ুব সরকারের সময় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে বঙ্গবন্ধুকে কারাবরণ করতে হয়।এ সময়ে কাপড় সেলাই করে বাড়ি ভাড়া, সংসার চালানোর সবটাই তিনি করতেন। মাথা ঠাণ্ডা রেখে সবটাই তিনি সামলাতেন। সন্তানদের লেখাপড়া করানোর পাশাপাশি তাদের বাবার অভাবটা নিজের স্নেহ-ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতেন।
পিরোজপুর প্রতিনিধি