মোঃ হোসেন গাজী।।
মেঘনা নদীর চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার তেলির মোড় থেকে দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানা এবং পশ্চিমে বরিশাল জেলার হিজলা থানার নৌ-সীমানায় জেলেদের উপর জলদস্যুদের একের পর এক হামলা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এছাড়াও জলস্যুদের হামলায় ইতোমধ্যেই বহু জেলে আহত হয়েছে।জলদস্যুদের এই হামলা ও ডাকাতি থেকে পরিত্রান পেতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের জেলা আওয়ামী মৎস্য জীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক দেওয়ানের সুদৃষ্টি কামনা।
১৬ আগস্ট মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক দেওয়ানের নৌকা থেকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করে নৌকা থেকে ইঞ্জিল সহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা এতে তার প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।দুর্ধর্ষ ডাকাতি বন্ধের জন্য চাঁদপুরের পুলিশ সুপার, নৌ পুলিশ সুপার, কোস্টগার্ডের কমান্ডিং অফিসার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও হাইমচর উপজেলা কোস্টগার্ড, নীলকমল নৌ ফাঁড়ি অফিসারগনের সুদৃষ্টি কামনা করেন
জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক দেওয়ান তিনি বলেন হাইমচর উপজেলার শত শত জেলে এই এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন । মৎস্য আহরণ করে গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় জলদস্যুদের ২০/২৫ টি গ্রুপ মেঘনা নদীর বিভিন্নস্থানে ২ ইঞ্জিনবিশিষ্ট অধিক গতিসম্পন্ন ট্রলারে করে সাধারণ জেলেদের উপর আক্রমণ করে থাকে। তারা জেলেদের কাছ থেকে, মাছ, টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন এমনকি জাল-নৌকা ও নিয়ে যায়।
এই জলদস্যুদের সম্পর্কে এখানকার ২ ইঞ্জিল বিশিষ্ট ট্রলারগুলো মালিকরা অবগত আছে এবং তাদের সাথে কারো কারো যোগসাযোগও রয়েছে। এদের কারও কারও আবার হাইমচর উপজেলার ৬ নং চরভৈরবী এলাকার বাবুরচর সহ বিভিন্ন চরে মাছের আড়ত রয়েছে। তারা নিজেদের আড়তে মাছ বিক্রি করতে জেলেদের চাপ প্রয়োগ করে। জেলেরা যদি তাদের কাছে মাছ বিক্রি না করে তবে, উল্লেখিত জলদস্যুদের দিয়ে তারা ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এইসব ঘটনা আগে কম ঘটলো এখন প্রতিদিনই ঘটছে।
তিনি আরো বলেন ডাকাতির বিষয়ে চাঁদপুর হাইমচরের কোস্টগার্ড এবং নীলকমল ফাঁড়ি ও হায়দারগঞ্জ নৌ
পুলিশকে অবহিত করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে সাধারন জেলেরা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।