তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে বহুল আলোচিত সমালোচিত মহানগর ক্লিনিকের কথিত ম্যানেজার মামুনের সিজারের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কয়েক দিন পর মালিক রামেকের ব্রাদার্স হেলালের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে দ্রুত মহানগর ক্লিনিকের মালিক হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার ও ক্লিনিক সিল গালা করার দাবি জানিয়েছেন উপজেলা বাসী।
এত কিছুর পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বিব্রত সচেতন মহল। নাকি নারায়ন নামের বস্তুর কাছে জিম্মি। তা ছাড়া কেনই বা ম্যানেজার মালিক আটক হচ্ছে না এবং কিভাবে এখনো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন ক্লিনিক টিতে । এতে করে স্হানীয় সচেতন মহল মানববন্ধনের মত কর্মসূচি দিবেন বলেও গুঞ্জন বইছে। ফলে দ্রুত আটকসহ ক্লিনিক বন্ধের দাবি উঠেছে সর্ব মহল থেকে। সেই সাথে উপজেলায় যতগুলো ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে সবাই কে আইনের আওতার ভিতরে আনারও জোরালো দাবি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তানোর পৌর সদরে মহানগর ক্লিনিক ভাড়া বাসায় চলত। গোল্লাপাড়া বাজারের উত্তরে সাইদুর রহমানের বাড়ির উপর তালাই ছিল ক্লিনিক। একচেটিয়া ব্যবসা করেন ক্লিনিক টি। পরে মেডিকেলের দক্ষিণে পৌরসভা স্কুলের সামনে মুল রাস্তার পশ্চিমে দামি জায়গা কিনে বহুতল ভবন নির্মাণ করে চলছে ক্লিনিক টি। দীর্ঘ দিন ধরে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আমশো গ্রামের মামুন। তিনি নিজেই সিজার সহ নানান ধরনের অপারেশন ও ডাঃ পরিচয়ে চিকিৎসা দিতেন। রোগি বা নবজাতক মারা গেলে মামুন ভয়ভীতি দেখিয়ে যত সামান্য টাকা দিয়ে ধামাচাপা দিতেন। ক্লিনিকে গণমাধ্যম কর্মীদের কোন ভাবে প্রবেশ করতে দিত না মামুন। তার সিজার অপারেশনের ভিডিও ভাইরালের পর থেকে উধাও মামুন। তবে এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও মালিক হেলাল কে মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে তানোর পৌর সদরের মেডিকেলের দক্ষিনে তিন তলা বিশিষ্ট মহানগর ক্লিনিক টি। ক্লিনিকের ম্যানেজার ছিলেন আমশো গ্রামের মামুন নামের এক ব্যক্তি। তিনিই ছিলেন এক প্রকার মালিক। কামিয়েছেন কাড়িকাড়ি টাকা। কিনেছেন চার পাঁচ বিঘার মত জমি। তবে শুধু মহানগর না যে কটি ক্লিনিক আছে সবগুলোর অবস্থা একই।
এবিষয়ে মালিক হেলাল উদ্দিন জানান, আমাকে যত প্রকার বাশ দেওয়ার দিয়েছে মামুন। আমাকে মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেছেন ইউএনও স্যার। মামলা কি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান যে ধকল যাচ্ছে, তবে করা হবে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ রাজিউল হক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও লোকাল প্রশাসন কে অবহিত করা হয়েছে এবং অভিযান দিয়ে কি ব্যবস্হা নেওয়া হল তার প্রতিবেদন দিতে বলেছি। তার ক্লিনিক অনুমোদিত জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে বলেন কাগজপত্র দেখাতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল হাকিম জানান, অভিযান পরিচালনা করে ইউএনও দশ হাজার টাকা জরিমানা ও হেলালকে মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেছেন। অভিযান এবং ক্লিনিকের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা সিভিল সার্জনে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, মালিক কে না স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ( টিএইচও) কে মামলা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুনরায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল হাকিমকে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, আমি কোন মামলা করতে পারব না।
পুনরায় ইউএনওকে অবহিত করা হলে তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।