অন্তর আহমেদ নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ চাকুরী দেওয়ার নামে “ওয়ার্ল্ড সিকিউিরিটি সলুশনস লিঃ” এর ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মো. ছানোয়ার হোসেনের ছেলে মোস্তাকিম হোসেন।
ভুক্তভোগী মোস্তাকিম জানান, আমি একজন বেকার যুবক। “ওয়ার্ল্ড সিকিউিরিটি সলুশনস লিঃ” এর একজন “ইলেক্ট্রিশিয়ান” পদে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের চাকুরীর নিয়োগ স্মারক নং-৫৭.০৩.০০০০.০২৭.০৭.১১.২১ মূলে গত ইং-১২/০৪/২০২১ তারিখের আলোকে নিয়োগ পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হইলে আমি উক্ত পদে চাকুরীর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করি। এবং ওয়ার্ল্ড সিকিউরিটি সল্যুশন লিঃ এর মো. শফিকুল ইসলাম খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর সহিত লোক দ্বারা চাকুরীর জন্য তদবির করলে ৩,৫০,০০০/-টাকা দাবী করিয়া গত ইং-২৮/০৪/২০২১ তারিখে ০১৬১৫-৪৭৬৮০৬ বিকাশ নম্বরে ১ম বার ৩০,০০০/- এবং ২য় বার ২০,০০০/-টাকা ও ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ গত ইং-২৮/০৪/২০২১ তারিখে মো. হাবিবুর রহমান এজেন্ট ব্যাংকিং এ্যাকাউন্ট নং-৭০১৭৪১৪২৭৫৯৫৭ নম্বরে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা (এজেন্ট ব্যাংকের) মাধ্যমে (মোবাইলের মাধ্যমে) বিভিন্ন ভাবে নগদ মো. হাবিবুর রহমান, ডাইরেক্টর, এম.আর সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ হেড অফিসে নগত ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দেয়।
পরবর্তীতে আমাকে গত ইং-০২/০৫/২০২১ তারিখ উল্লেখে মো. শফিকুল ইসলাম খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওয়ার্ল্ড সিকিউরিটি সল্যুশন লিঃ ও মো. মিনারুল ইসলাম, ডিরেক্টর, ওয়ার্ল্ড সিকিউরিটি সল্যুশন লিঃ এর অনুমোদন পাইয়া আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ-এ যোগদান করতে গেলে অধ্যক্ষ শ্রী গৌতম আমাকে বলে ভোকেশনাল এর একটি নিয়োগপত্র দিতে হবে।
আমি নিয়োগপত্র সংগ্রহের জন্য ওয়ার্ল্ড সিকিউরিটি সল্যুশন লিঃ কোম্পানির
ব্যক্তিদের জানালে গড়িমসি করতে থাকে এবং অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ চাকুরী পাইয়ে দিবে মর্মে জানান। ২বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত আমাকে কোন নিয়োগ দিতে পারেনি। এবং আমার টাকা ফেরত দেবার কথা বললে গড়িমসি করতে থাকে সময় কালক্ষেপন করছে।
আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের
অধ্যক্ষ শ্রী গৌতম মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের মাধ্যমে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়নি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে যাদের দিয়েছে তারাই নিয়োগ পেয়েছে। মোস্তাকিম এর বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।
ওয়ার্ল্ড সিকিউরিটি সল্যুশন লিঃ এর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনারুল ইসলামের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কোম্পানির নামে ভূয়া নিয়োগ দিয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ আমাদের কোম্পানি দিয়েছে সে এখন চাকুরী করছে।তাই কে বা কাহারা আমাদের কোম্পানির নাম ব্যবহার করে নিয়োগ দিয়েছে তার দায় ভার আমরা নিতে পারবো না।
