রাউজান (চট্টগ্রামে) প্রতিনিধি:
রাউজানের সর্তা খালে উজানের ভাসিয়ে অবৈধ কাঠ পাচারকালে এক’শ পিস গোল কাঠ জব্দ ও ১০ হাজার টাকা জরিমান আদায় করেছে
ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় নয়াহাট এলাকার আকবর শাহ ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার।রাউজান ঢালার মূখ বন বিট ষ্টেশন কর্মকর্তা আইয়ুব আলী মন্ডল ও রাউজান থানা পুলিশ-আনসারের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে দেখা যায়, বাশেঁর ছালায় সারি সারি গোল কাঠ বাসিয়ে সর্তার খাল দিয়ে নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে পাচার কালে নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টিঘোচর হলে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামেন তিনি। অভিযানে ৪০ পিস গোল সেগুন কাঠ ও ৬০পিস গোল গামারী কাঠসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুই ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমান আদায়ের মাধ্যমে মুক্তি ও দুই প্রজাতির এক’শ পিস কাঠ জব্দ করেন। অভিযান পরিচালনাকালে প্রকল্প কর্মকর্তা
নিয়াজ মোর্শেদ, স্থানীয় নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার্দী সিকদার ও গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাঁশি উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জলপথে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা হতে সর্তাখাল দিয়ে কাঠ পাচার করে আসছে একটি চোরাই সেন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীরা সর্তাখালকে নিরাপদ পাচার রোড হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল। এ অভিযানের মাধ্যমে পাচারকারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছিল। অভিযান প্রসঙ্গে নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ সিকদার জানান, জলপথে অবৈধ ভাবে কাঠ পাচার কালে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে অর্থদণ্ড ও কাঠ গুলো জব্দ করা হয়েছে।জব্দ করা কাঠ বন কর্মকর্তার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।