শাহাদাত হোসেন, রাউজান(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের চার লেন সড়কের দু”পাশে দু”লেন দখলে থাকে অবৈধ পাকিংয়ে।যার কারণে যানজট ও সড়ক দুঘর্টনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এই চার লেনের মহাসড়ক পরিদর্শন কালে দেখা গেছে জলিল নগর বাস ষ্টেশন, মুন্সিরঘাটা,গহিরা চৌমুহনী এলাকায় সড়কের উপর বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিক্সা অবৈধ পার্কিং করায় যানজট সৃষ্টি হয়।এতে চলাচলে পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।বেপরোয়া বাস,ট্রাক,অটোরিক্সা ও মাইক্রো বাস নিদিষ্ট স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা না গেলে রাউজানের সৌন্দর্য্য যেমন বিনষ্ট হবে, তেমনি দুঘর্টনা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
রাঙামাটি মহাসড়কে যানজট নিরসনে সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় হাটহাজারী থেকে রাউজানের প্রান্তসীমা গোদারপাড় পর্যন্ত প্রায় ৩১কিলোমিটার সড়কের ৮০ফুট প্রশস্ত চার লেনের কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চার লেনে উন্নীতকরণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।ঠিকাদারি কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।বর্তমানে এ সড়কের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।এ বছরের শেষের দিকে চার লেনের কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।তবে
চট্টগ্রাম রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির মালিকানাধীন রাউজান জলিল নগর বাস ষ্টেশনে নিজস্ব একটি বাস পাকিং এর জায়গা রয়েছে।কিন্তু তারা নিদিষ্ট স্থানে পার্কিং না করে এলোপাতারি জলিল নগন এলাকার সড়কের উপর কয়েক লাইন করে গাড়ি পার্কিং করে থাকে।একই ভাবে জলিল নগর বাস ষ্টেশনের পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশ পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে সিএনজি অটোরিক্সা,জীপ, ট্রাক,বাস,মাইক্রো বাস পাকিং করে রাখা হয় প্রতিনিয়ত।স্থানীয়রা জানান,এই মহাসড়ক চার লেনের কাজ শেষ হলে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবো মনে করছিলাম।কিন্তু সড়কের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হলেও সড়ক দু’পাশ অবৈধ পার্কিং এর দখলে থাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ।এই অবৈধ পার্কিং দেখার কেউ নেই।সড়কের শৃঙ্খলা ফিরাতে রাউজান হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা থাকে রহস্যজনক।এ ব্যাপারে রাউজান হাইওয়ে থানার ওসি কামরুল আজমেরকাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চট্টগ্রাম -রাঙামাটি মহাসড়কে অবৈধ পাকিং করে রাখা যানবাহনের বিরুদ্ধে আমারা প্রতিনিয়ত অভিযান করছি।গত ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার রাউজানের গহিরা চৌমুহনী এলাকায় সড়কের উপর অবৈধভাবে পাকিং করায় ৭টি গাড়িকে মামলা দেওয়া হয়েছে।