নিজস্ব প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৭ আগস্ট বুধবার কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় বুধবার বিকেলে নির্যাতিত নারী ফাতেমা বেগমের মা পেয়ারা খাতুন শাহাদাত হোসেনকে প্রধান বিবাদী করে ৫জনের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
সরজমিনে ও কচুয়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৭ আগস্ট বুধবার দুপুরে প্রবাস ফেরত স্বামী শাহাদাত হোসেন স্ত্রী ফাতেমা বেগমের কাছে ব্যবসা করার জন্য ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। স্ত্রী ফাতেমা যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে স্বামী শাহাদাত হোসেন ও তার পরিবারের অনান্য সদস্যরা মারধর করে।
নির্যাতিত ফাতেমা বেগম জানান, আমার স্বামী সৌদি প্রবাসী। সৌদি যাওয়ার সময় সে আমার পরিবারের কাছে ৪ লক্ষ টাকা যৌতুক চায়। তখন আমি বাবার বাড়ি থেকে ১লক্ষ টাকা এনে দেই। সে সৌদি আবর গিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এবং সে অন্য মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরায় আমার ভরন পোষনের খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে টিউশনি করে আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে মানবেতর জীবনযাপন করি। এখন আমার স্বামী দেশে আসায় আমি শ^শুড় বাড়ি আসলেও সে আমাকে বাড়িতে জায়গা দিতে চায়না। এবং আমাকে তালাক দিয়ে অন্য স্থানে বিয়ে করতে চায়। আমি আমার স্বামীর সংসারে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে থাকতে চাই এবং স্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ অধিকারের দাবী জানাই।
ফাতেমার মা পেয়ারা বেগম জানান, আমার মেয়ের জামাই বিদেশে গিয়ে আমার মেয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বিভিন্ন সময় শাহাদাতের পরিবার আমাদের কাছে যৌতুক দাবী করে এবং বিভিন্ন অজুহাতে আমার মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে সে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে আমি মানবেতর জীবনযাপন করছি।
তিনি আরো জানান, বুধবার আমি কচুয়া থানায় অভিযোগ করলে এসআই মো. সুদীপ্ত শাহীন ঘটনাস্থলে পৌছে ফাতেমা বেগমকে উদ্ধার করে। এবং ফাতেমার স্বামী ও তার পরিবারকে বুঝিয়ে আমার মেয়েকে শ^শুড় বাড়ি দিয়ে আসে।
এব্যাপারে ফাতেমার স্বামী শাহাদাত হোসেন যৌতুক এবং মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আদালতে দুপক্ষের মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ্ত শাহীন বলেন, যৌতুকের দাবী ও মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।