রাউজান (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:
পার্বত্য জেলার চট্টগ্রামের উত্তর বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কোটি টাকার কাঠ বিভিন্ন সড়ক ও জল পথে পাচার হচ্ছে।অনুসন্ধানে দেখা যায়,অবৈধ কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেটের হাতে রেহাই পাচ্ছেনা সরকারী সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে শুরু করে সামাজিক বনায়নও।কোটি টাকা মূল্যের এসব কাঠ ট্রাক, পিক-আপ,চাঁদের গাড়ি করে রাউজান উপজেলার শতাধিক করাত কলে এনে বিভিন্ন সাইজ করে দ্বিতীয় ধাপে রাতের আঁধারে চট্টগ্রাম নগরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করে পাচারকারী সিন্ডিকেটরা।এসব কাঠ পাচারে পথ ব্যবহার করে সড়ক ও জল পথ।পাচারকারীদের নিরাপদ পথ হচ্ছে জল পথ।বেশিরভাগ কাঠ জলপথে বাঁশের ভেলার সাথে বেঁধে পাচার করা হয়। কাঠ পাচারকারীর জল পথ হচ্ছে সর্তা খাল, কর্ণফুলী-হালদা নদীসহ বিভিন্ন শাখা খাল।প্রতিরাতে ফটিকছড়ি,হেঁয়াকো-গহিরা সড়ক-খিরাম,হলদিয়া হচ্চার ঘাটা,দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়ক,শহিদ জাফর সড়ক, রাঙ্গামাটি মহাসড়ক, হাফেজ বজলুর রহমান সড়ক, নোয়াপাড়া সড়ক,রাঙ্গুনিয়া-কাপ্তাই সড়কসহ রাউজানের বিভিন্ন সড়ক পথ দিয়ে ট্রাক, পিক-আপ,চাঁদের গাড়ি করে কাঠ পাচার চলে।এসব কাঠের মধ্যে রয়েছে সেগুন,গর্জন, গামারী, কড়াই ও আকাশী মনি,জারুল,জাম সেগুন, চাপালিশ, গোলা কাঠ সহ নানা প্রজাতির গাছ। দিনভর কাটে রাতভর সড়ক ও জল পথে পাচারের মহোৎসব চলে।রাত যতই গভীর হয় ততই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে কাঠ পাচার।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জল পথে আসা প্রতি কাঠ ভর্তি বাঁশের ভেলা থেকে ১৫০টাকা,বাঁশের ছালি থেকে ৫০টাকা আর কাঠ ভর্তি প্রতি জীপ ৫০০টাকা করে কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি চাঁদা আদায় করে বিন বিভাগ, বন বিট, থানা পুলিশ, প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতার নাম দিয়ে।সেই টাকা দিয়ে অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাদেরকে ম্যানেজ করে অবাধে কাঠ পাচার করছে।বনবিভাগ, বন বিট,জেনেও কোন অভিযান পরিচালনা করে না।নিরব ভূমিকা পালন করছেন তাঁরা।এড়াছাও রাউজানের শতাধিক করাত কল রয়েছে।এসব করাত কলগুলো গিলে খাচ্ছে সংরক্ষিত বন এলাকার নিধন করা কাঠ। বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কাঠ পাচার ও করাত কলে স্তূপ করে রাখা কাঠ সাইজ করে পাচার করার হিড়িক পড়ছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতি রেঞ্জ অফিসের রাউজান ঢালার মুখ ষ্টেশন অফিসার আইয়ুব আলী মন্ডল বলেন, রাউজানে লাইসেন্সধারী করত কল রয়েছে ৩০টির মত। লাইসেন্সবিহীন অবৈধ করাত কল কয়টি রয়েছে তা আমার জানা নেই।সন্ধ্যার পর রাউজানের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে কাঠ পাচারের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর বা রাতে আঁধারে কাঠ পাচারের সঠিক তথ্য পেলে অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আর লাইসেন্ বিহীন অবৈধ যেসব করাত কল রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।