রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী এলাকা বৃক্ষবানপুরে রয়েছে বিশাল আয়তনের সরকারী খাস টিলা ও পাহাড়। সরকারী খাস টিলা ও পাহাড় জবরদখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলেছে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের বাগান। সরকারী খাস টিলা পাহাড়ী জমিতে গড়ে তেলা বৃক্ষের বাগানের গাছ কেটে ইটভাটায় জ্বালানী কাঠ হিসাবে বিক্রির পায়তারা করছে জবরদখলকারীরা। বৃক্ষবানপুর ও বৃন্দাবনপুরে রয়েছে ৮-১০ টি অবৈধ ইটভাটা।এসব ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে ভাটায় নেওয়া হচ্ছে । সরেজমিনে পরিদর্শন কালে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে বৃক্ষবানপুর এলাকায় দলই বাড়ী বার আউরিলায় আস্তানা পাশে বিশাল আয়তনের সরকারী খাস টিলা ও পাহাড় জবরদখল করে বৃক্ষের বাগান গড়ে তোলেছে মনজুরুল আলম। তার জবর দখল করা সরকারী খাস টিলা ও পাহাড়ে গড়ে তোলা বৃক্ষের বাগানের গাছ কেটে বিক্রি করার প্রচেষ্টায় মেতে উঠেছে। একই এলাকায় আইয়ুব মিয়া সরকারী খাস টিলায় তাঁর গড়ে তোলা বৃক্ষের বাগানের চারাগাছ দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করা হলে আস্তানা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বাধার মুখে বাগানের গাছ বিক্রি করা টাকা ক্রয়কারীর কাছে ফেরৎ দেয়।একই এলাকায় বাচা মিয়া ও আবু তৈয়ব মেম্বার সরকারী খাস টিলা জবর দখল করে গড়ে তোলেছে বিশাল আয়তনের বৃক্ষের বাগান। এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, আস্তানা শরীফের পাশে সরকারী টিলা ও পাহাড়ে গড়ে তোলা বৃক্ষের বাগানের মালিক সরকার। সরকারী খাস টিলা ও পাহাড় থেকে বৃক্ষ কেটে কেউ বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।