মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের এক প্রবিন সাংবাদিক জানলেন ৮বছর পর-ভুয়া বিস্ফোরক মামলা।আইনশৃংখলা বাহিনী জানে না কোন জন অপরাধী কোন জন অপরাধী নয়। সাংবাদিক হয়েও রক্ষা হয়নি ভুয়া মামলা থেকে। তার বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা,তাও আবার বিস্ফোরক আইন মামলায় আসামি সাংবাদিক নিজেই। থানা ও আাসামীরা কেউই জানেনা বাদী কে?
২১ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৪০মিনিটে চন্দনাইশ থানা
দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মো: বিলাল হোসাইন। তিনি ফোন দিয়ে বলেন আমি একটা তথ্যের জন্য ফোন দিয়েছি,২০১৫ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে আপনার নামে মামলা হয়েছিল জামিনে আছেন কিনা?উক্ত মামলার বিষয়ে জানতে চান।
অথচ,সাংবাদিক কামরুল হুদা দীর্ঘ ৪২বছর যাবৎ অবস্থান করছেন চট্টগ্রাম নগরীতে। এবং দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত আছেন।অথচ যার বিরোদ্ধে মামলা তিনিই জানেন না কে কেন কখন কিসের মামলা করেছে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার মামলা নং-১৩, ২০/০১/২০১৫ইং ধারা-বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সনের ১৫(১০ এর (ক)। তিনি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার দোহাজারী।পৌরসভার ফুলতলার স্থানীয় মৃত সামশুল হুদার ছেলে কামরুল হুদা। তাকে ৪২ নং আসামি করা হয়েছে। সাংবাদিক কামরুল হুদা চট্টগ্রাম নগরীতে ৪২বছর যাবৎ অবস্থান করছেন এবং দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত আছেন। ঈদের সময় ছাড়া তিনি বাড়ীতেও যান না। আজ ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৪০মিনিটে দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মো: বিলাল হোসাইন ফোন দিয়ে বলেন,
আমি একটা তথ্যের জন্য ফোন দিয়েছি, ২০১৫ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে আপনার নামে মামলা হয়েছিল। কি বলেন,কামরুল হুদা, পিতা সামশুল হুদা এত বড় মামলা হয়েছে ২০১৫ সালে,জামিন-টামিনও নেননি, আচ্ছা ঠিক আছে ভাই।
এস আই সাহেব ফোন দেয়ার পর দীর্ঘ আট বছর পর মামলা হয়েছে,সে বিষয়ে জানতে পারেন বলে জানান সাংবাদিক কামরুল হুদা। তিনি আরো জানান,আমি ঈদের সময় ছাড়া বাড়ী-ঘরেও যাই না। কেন আমার বিরুদ্ধে মামলা,আমি কোন রাজনৈতিক দলও করি না,আমি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। একজন দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার বিরুদ্ধে এত বড় একটি মিথ্যা মামলা। আইনশৃংখলা বাহিনী জানে না কোন জন অপরাধী কোন জন অপরাধী নয়। মামলা হওয়ার পর নিশ্চয় পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে, তাহলে পুলিশ কি তদন্ত করলো? সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভভ আর সেই পেশার একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হল তাও আট বছর পর তিনি আজ জানতে পারলো।
উক্ত মামলার কর্তব্যরত অফিসারের কাছে জানতে চাইলে,এসআই বিলাল হোসাইন বলেন,বিষয়টি সত্য সাংবাদিক কামরূল হুদা সহ আরো একজন আসামির ঠিক একই অবস্থা তারা জানেন না যে তাদের বিরুদ্ধে কিসের মামলা।উক্ত বিষয়টি জানার জন্য সাংবাদিক অনেকেই আমাকে ফোন দিচ্ছে।এ বিষয়ে এখন কোর্ট থেকেই তথ্যগুলো নিতে পারেন সহজ।তবে নথিপত্র থানায় আছে থানায় গেলে জানাতে পারবো মামলার বিষয় ও বাদী কে?
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন,এটাতো আসলে খুঁজে বের করতে হবে এটাতো আট বছর আগের ঘটনা তখনকার সময়কার। মামলাগুলোর কি অবস্থা আসামি কারা ছিল যাচাই করা হচ্ছে তাই কলটা গিয়েছে। খুঁজে বের করে দিতে পারব,তবে এগুলো মূলত আসলে এখন কোর্ট থেকেই তথ্যগুলো নেওয়াই ভালো।পুরোনো ২০১৫ সালের ফাইলগুলো ঘেটে বের করে আমি দিতে পারব।
উল্লেখ্যঃ সাংবাদিক কামরুল হুদা জানান,আমরা কি এভাবে মিথ্যার বেড়াজালে বন্দি হয়ে থাকবো? রাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেমন এ দেশের উন্নয়ন চায়,তেমনি এ দেশের সাংবাদিক সমাজও। সাংবাদিকরা দেশের বাইরে নয়। তাহলে সবার মতো সাংবাদিকদেরও নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। যারা সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে ধারণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে, তাদের মধ্যে ঐক্যের অভাব আছে এটা কর্মরত সাংবাদিকদের শিকার করতে হবে। হয়তো প্রতিবাদের সময় মানববন্ধন বা সভা-সমাবেশে একসঙ্গে দাঁড়াচ্ছে কিন্তু মনস্তাত্তিকভাবে অনেকেই আন্তরিক নয়। পেশার প্রতি ভালোবাসা না কোনো রকম জীবিকা নির্বাহ যেন তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। ২/১টি মানববন্ধন করে কখনো এ ধরনের ঘটনাকে শেষ ঘটনা হিসেবে দেখা যাবে না। বর্তমানে সাংবাদিকদের মধ্যে একতার অভাব। সবাই ব্যক্তিস্বার্থ, রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে চিন্তা না করে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য কাজ করতে হবে। সব শেষে ঐক্য ছাড়া সাংবাদিক সমাজের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের একটাই দাবি অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উক্ত মামলা থেকে প্রবিন সাংবাদিক কামরুল হুদার নাম বাঁধ দেওয়া হোক সেইসাথে যে এই জঘন্য কাজটি করেছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।