স্টাফ রিপোর্টার:
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনবাজি রেখে দেশ মাতৃকাকে রক্ষার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিভিন্ন হয়রানী, হামলা-মামলা ও সর্বশেষ দোকানঘর টি ভাংচুর করে লুটপাট করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে বিচার প্রার্থনা করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভূক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির হোসেন মৃধা।
সরেজমিনে ও তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, ওই গ্রামের প্রয়াত মো. মুখলেছুর রহমান মৃধা গত ১৮ বছর পূর্বে স্ত্রী ও ২ ছেলে, ২ মেয়ে রেখে ইন্তেকাল করেন। মুখলেছুর রহমান মৃধা মারা যাওয়ার পূর্বে তার বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মৃধা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করায় পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে একটু বেশি আদর স্নেহ করতেন। সেই সুবাদে বীর মুক্তিযোদ্ধা তার বাবা জীবিত থাকাবস্থায় বাড়ির সামনে তার নিজস্ব সম্পত্তিতে একটি দোকানঘর করা ব্যবস্থা করেদেন। যা বাবার সম্পত্তির উপর সম্পূর্ণ বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মৃধার অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে। ওই দোকানঘরটিতে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মৃধার বড় ছেলে। কিন্তু হঠাৎ করে আমির হোসেন মৃধার ছোট ভাই সমাজের এক শ্রেণির অসৎ মানুষদের সাথে চলাফেরা করার সুবাদে আমির হোসেন মৃধার পরিবারকে নানা ভাবে হয়রানী করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে ঘটনারদিন মানুষ যখন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যাবে, ঠিক সে সময়ে সংঘবদ্ধ একটি দলবল নিয়ে দোকানঘরটি ভেঙ্গে সকল আসবাবপত্র ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন সচেতন মানুষ জানিয়েছেন, আমির হোসেন মৃধাকে তার বাবা অনেক আদর স্নেহ ও বিশ্বাস করতেন। এতে তাদের বাবা জীবিত থাকাবস্থায় কোনো ঝামেলা না করলেও মুরুব্বি মারা যাওয়ারপর তার ছেলে শফিকুর রহমান বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছে আমির হোসেন মৃধার পরিবারকে। সর্বশেষ এ দোকানটি ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। শফিকুর রহমানের এই জগন্য কাজের সৃষ্টি সংঘদোষের প্রতিফলন বলে আমরা মনে করি।
অভিযোগের বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মৃধা বলেন, আমার বাবা জীবিত থাকতে আমাকে অনেক সুযোগ সুবিদা দিতে চাইলেও ছোট ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে সুযোগ সুবিদা আমি গ্রহণ করিনি। বাবা মৃত্যুপূর্বে যখন অসুস্থ্য ছিলো, তখন আমার এই ছোট ভাই কৌশল করে বাবার থেকে ২৫ শতক সম্পত্তি তার নামে দলিল করে নেয়। তাতেও রাগ করিনি ছোট ভাইয়েতো নিয়েছে। বাবা মারা যাওয়ারপর আমাকে হামলা মামলা দিয়ে অনেক হয়রানী করেছে,ভেবেছি একদিন তার সঠিক বুঝ হবে সে ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আমার দোকানটি যখন আজকে ভাংচুর লুটপাট করে নিয়েগেছে আমার ছোট ভাই, আমি তা মানতে পারিনি। আমি বিচার বিভাগের কাছে বিচার চাই।
অভিযুক্ত শফিকুর রহমান’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মান্নান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২, ২২০ বার পঠিত