রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রাউজানে কৃষি জমি ভরাট করছে হালদা নদীর বালু দিয়ে। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৪নং গহিরা ইউনিয়নের কোতোয়ালী ঘোনা এলাকায় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস সিকদারের বাড়ীর পাশে কৃষি জমি ভরাট করে ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় মোহাম্মদ আজম নামে এক ব্যক্তি।প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি জমিতে কোন সরকারী বেসকারী প্রকল্প নির্মান না করতে নির্দেশনা জারি করলেও গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর সীমনায় হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মেখল হালদা নদী ও সর্তার খালের মোহনায় জেগে উঠা মহল্লাচরে কৃষি ভরাট করে ঘর বাড়ী নির্মান করছে একের পর এক। রাউজানের সংসদ সদস্য এবি, এম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানে কোনো কৃষি জমি ভরাট ও খনন করতে পারবেনা বলে নির্দেশনা দেয়।এই নির্দেশনা অমান্য করে রাউজানের গহিরা, সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি ভরাট করে নির্মান করা হচ্ছে আবাসিক ও বাণ্যিজিক ভবন ।রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের কোতোয়ালী ঘোনা এলাকায় কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মানকারী আজম বলেন কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মান করার জন্য গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি থেকে অনুমতি নিয়েছি । এ ব্যাপারে গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশিকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজমকে কৃষি জমি ভরাট করে ঘর নির্মান করার জন্য গত ২০১৯ সালে আমি অনুমতি দিয়েছি । অনুমতি দেওয়া কাগজ খুজে বের করে আরো বিস্তারিত বলতে পারবো বলে জানান তিনি। গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর এলাকার সীমানায় হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মেখল মহল্লার চর এলাকায় হালদা নদী ও সর্তার খালের মোহনায় জেগে উঠা মহল্লার চরে একাধিক স্থানে জমি ভরাট করে নির্মান করা হচ্ছে ঘর। মহল্লার চরে বিশাল আয়তনের আরো জমির চারপাশে ইট দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হয়েছে। জমির চারপাশে দেওয়া সীমানা প্রাচীর দেওয়া জমি ও যে কোন সময়ে হালদা নদীর বালু দিয়ে ভরাট করার আশংকা । মহল্লাচরের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান প্রসঙ্গে পশ্চিম গহিরার মোরশেদ বলেন, ঐ জমি আমি ক্রয় করেছি । ঐ জমি রাউজানে নয়। ঐজমি হাটহাজারীর মধ্যে । হাটহাজারী এলাকার কৃষি জমি ভরাট করা কি সরকারের নির্দেশনার বাইরে মোরশেদের কাছে জানতে চাইলে, মোরশেদ পরে কথা বলবেন বলে জানায় ।