মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে পদযাত্রার নামে ফটো সেশন করতে দেখা গিয়েছে।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্দেশে সোনারগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পদযাত্রার আয়োজন করেন প্রত্যেকটি ইউনিয়ন বিএনপি’র ব্যানারে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি,অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে সোনারগাঁয়ে বিএনপির পদযাত্রা করতে দেখা যায়,কিন্তু পদযাত্রার নামে ১০-১২ জন নিয়ে ফটো সেশনের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় কেন্দ্রীয় ঘোষিত পদযাত্রা।
সাবেক বিএনপি নেতাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিটি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ৭১ সদস্য বিশিষ্ট হলেও প্রতিটি ইউনিয়নের পদযাত্রায় ১০-১২ জনের বেশি নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়নি। তারা দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন,স্বয়ং সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নিজের ইউনিয়নে ১০-১৫ জনের বেশি নেতাকর্মী নিয়ে পদযাত্রা করতে দেখা যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের ছেলে খাইরুল ইসলাম সজিবের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গোটা কয়েক নেতাকর্মী নিয়ে ফটো সেশনের মাধ্যমে পদযাত্রা করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র হেভি ওয়েট নেতাদের দেখা যায় ১০-১২ জন্য নেতাকর্মী নিয়ে ফটো সেশনের মাধ্যমে পদযাত্রা করতে।কাচপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি পদপ্রার্থী সালাউদ্দিন সালু ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হাজী নাসির উদ্দিন ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপনের নেতৃত্বে হাতে গোনা কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে ফটো সেশন করতে।
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র কর্মসূচি হিসেবে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের পি এস ও সোনারগাঁও উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি সেলিম হোসেন দিপুকে ১০-১২ জন নেতা কর্মী নিয়ে বারদী ইউনিয়নে ফটো সেশন এর মাধ্যমে পদযাত্রা করে ।
সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটুকে মোগরাপাড়া ইউনিয়নে কোন পদযাত্রা করতে দেখা যায়নি।
সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র ফটো সেশনের রাজনীতির বিষয়ে জানতে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে ফোন দিলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।