শাহরাস্তিতে শীঘ্রই শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের ওয়াকওয়ে।

শাহরাস্তি, চাঁদপুর প্রতিনিধি :
শিগ্রই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে শাহারাস্তিবাসীর স্বপ্নের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের ওয়াকওয়ে প্রকল্প। নির্বাচনী এলাকার মানুষকে পরম মমতায় ভালবাসে বলে মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি মহোদয় নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছেন। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহরাস্তি হাজিগঞ্জে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কর্মসংস্থানের চিন্তা করে । এই স্থাপনা এগিয়ে নিবে বহুদূর আপনার এই কর্মের জন্য শাহারাস্তির মানুষের হৃদয়ে ঠাই করে নিবেন যুগের পর যুগ।
চাঁদপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হিসেবে পরিচিত শাহরাস্তি উপজেলা। হযরত শাহরাস্তি বোগদাদী (রঃ) নামে প্রতিষ্ঠিত এ এলাকায় রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বের অন্যতম সীদ্ধপীঠস্থান। শান্তি প্রিয় এলাকা হিসেবে পরিচিত শাহরাস্তি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তুলনায় শাহরাস্তিতে অপরাধের সংখ্যা অনেক কম। তাই এ এলাকার আইনশৃঙ্খলা থাকে বরাবরই নিয়ন্ত্রণে। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ এলাকা হলেও শাহরাস্তিতে নেই কোন বিনোদনের সুবিধা। নির্মল পরিবেশে দেহ মনকে প্রশান্তি দেওয়ার মতো একটু জায়গা খুঁজে বের করা কঠিন ছিল শাহরাস্তি বাসীর। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা নিয়েও ব্যর্থ হতে হয়।

শাহরাস্তি বাসির অভিভাবক মহান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি, ১নং সেক্টর কমান্ডার , সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শাহরাস্তি হাজিগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয় দীর্ঘ দিন ধরে শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর পাড় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের মাধ্যমে বিনোদনের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। বেশ কয়েকবার তিনি পর্যটন রিসোর্ট তৈরির জন্য উদ্যোগ নেন। একের পর এক পরিকল্পনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। অবশেষে বিআইডব্লিউটিসির প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয় ডাকাতিয়া নদীর পাড়। ডাকাতিয়া নদীর উপর সুচিপাড়া ব্রিজ থেকে চিখটিয়া ব্রিজ পর্যন্ত দু-কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর ধরে নির্মম কাজ করার পর এ মাসেই এটির কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও পার্কিংয়ের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে বিলম্ব হওয়ায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান তানিয়া এন্টারপ্রাইজের সাইড ইঞ্জিনিয়ার জানান, ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দু-এক মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।

বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা জানান , জুন মাসে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা কিন্তু উভয় দিকে পার্কিংয়ের জন্য জায়গা বর্ধিত করার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে দেরি হওয়ায় নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি জানান, উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রায় ১৭.৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পার্কিংয়ের জন্য নতুন করে আরও ২ একর জমির অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ হয়ে গেলে অল্প সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে।

ওয়াকওয়ে নির্মাণ হলে শাহরাস্তি উপজেলার দৃশ্যপট বদলে যাবে বলে অনেকের ধারনা। এই ওয়াকওয়েটির সুফল শুধু শাহরাস্তি বাসিই ভোগ করবেনা সাথে সাথে উপজেলার দুপাড়ের জনগন, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ, নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার জনগন অল্প সময়েই ওয়াকওয়েটির সুফল ভোগ করবে।

ধারণা করা হচ্ছে ওয়াকওয়ে ঘিরে ব্যবসায়িক কেন্দ্র গড়ে উঠবে। জনগণের অবাধ বিচরণের ফলে প্রাণচাঞ্চল হয়ে উঠবে শাহরাস্তি উপজেলা। ইতিমধ্যেই ডাকাতিয়া পড়ে গড়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্রিক কপি পার্ক। প্রতিদিনই এখানে শত শত মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে এ অঞ্চল। ওয়াকওয়েটির কাজ সমাপ্ত হলে জনগণের পদচারণা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে…………………..
ডাকাতিয়া পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মিত হলে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে, চাঁদপুরের শাহরাস্তি ছিখটিয়া ব্রিজ হতে সূচীপাড়া ব্রীজ পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর উত্তর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর অব.রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি।

এ ডাকাতিয়ার উপরে আমি তথা আওয়ামী লীগ সরকার ৯টি ব্রিজ করে দিয়েছি। নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসাবে এ ডাকাতিয়া নদীকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়েছি। প্রতিবছর সরকার ২ হাজার কোটি টাকা খননকৃত কাজে ব্যয় হচ্ছে। ওয়াকওয়ের নির্মাণ আজ থেকে শত বছর পরের প্রজন্ম পর্যন্ত মনে রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

নদীর তীরবর্তী মানুষ যেন নদীর পানিকে কোন ভাবে দূষণ করতে না পারে সে দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যিনি এ প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে।

এ প্রকল্পে প্রায় ১৩ একর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি টাকা। ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ হলে দূর দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসবে। এ উপজেলার সুনাম ও পরিচিতি চাঁদপুর তথা দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়বে। ১০ ফিট ছড়া, ৩০ ফিট প্রস্ত, বিশাল পরিসরে এ ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • বুধবার (দুপুর ১:১৬)
  • ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১