রাউজান প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা- বিক্রেতা ও পশু খামারিদের উপস্থিতিতে রাউজানের হযরত শাহ্ নাতোয়ান বাগিচা বাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট। শুক্রবার বিকালে অস্থায়ী এই বাজার পরিদর্শনে দেখা গেছে, বিশাল এলাকাজুড়ে বসে কোরবানি পশুর হাট।দূর দূরান্ত থেকে খামারি ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ ও ছাগল নিয়ে আসেন এই বাজারে। বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্য চলছে দর কষাকষি।বেচাকেনাও হয়েছে মোটামুটি। শুক্কুর সওদাগর নামে এক ক্রেতা বলেন, এই বাজার থেকে নিরাপত্তার সাথে পছন্দের গরু কিনতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।এক লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে ষাঁড় কিনেন তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য দিলীপ দে জানান, ৭নং রাউজান ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এই কোরবানি পশুর হাট বসানো হয়েছে। এই বাজারে হাছিল ও দালাল না থাকায় স্থানীয় ক্রেতারা পছন্দমতো গরু কিনতে পারেন।২য় প্যানেল চেয়ারম্যান প্রভেশ বড়ুয়া বলেন, সপ্তাহে শুক্রবার ও মঙ্গলবার বসে এই পশুর হাট।এই বাজারে পার্বত্য জেলাসহ বিভিন্ন স্থানের মৌসুমী ব্যবসায়ী ও খামারিরা বিক্রির জন্য কোরবানির পশু নিয়ে আসে।বিনা হাসিলে এ বাজারের ব্যবস্থা থাকায় ক্রেতা বিক্রেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিরাপদ মনে পছন্দের পশু ক্রয় করে নিয়ে যায়।৭নং রাউজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম জসিম উদ্দিন হিরু বলেন, রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে রাউজানের পশুর হাটগুলোতে চাঁদাবাজি, ছিনতাইতয়ের মত তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি।শান্তিপূর্ণভাবে এখানকার ব্যবসায়ী ও খামারিরা গরু- ছাগল বেচাকেনা করতে পারে। প্রতি বছর ঈদুল আযহার সময় অস্থায়ী গরু ও ছাগলের বাজার বসে নাতোয়ান বাগিচা বাজারে। নিরাপত্তার সাথে এই বাজার থেকে ক্রেতারা তাদের পছন্দের কোরবানির পশু কিনে নিয়ে যায়।পরে চেয়ারম্যান বাজার পরিদর্শন করে।পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল আমিন, যুবলীগ নেতা সারজু মো: নাছের, প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক কোখন, ফজলুল কাদের, ফোরখান উদ্দিন, সাহাবু উদ্দিন, জহির উদ্দিন, সাইফুউদ্দিন, শফি, জামাল উদ্দিন,হাসান মুরাদ, আব্দুল আহম্মেদ,সহ অনেকেই।