রাউজান প্রতিনিধি:
দরিদ্র নারীদের আত্ম স্বাবলম্বী গড়ে তুলতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চনসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের ৯২টি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া পর তাদের মাঝে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। ৫০টি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে নোয়াজিষপুর মূঈনীয়া আজিজিয়া মাদ্রাসায় একটি মহিলা সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।এই সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের জন্য সেলাই মেশিন প্রশিক্ষক রয়েছে একজন। সেলাই কাজের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ২০জন। মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কেন্দ্র পর্ষদের সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরী জানান,
বিনামূল্যে মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এই কেন্দ্রে। ৩মাসের কোর্স নিয়ে সেলাই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রশিক্ষণার্থীরা।ইতিমধ্যে ১ম পর্বে ৩মাস কোর্স শেষ করেছে ২০জন প্রশিক্ষণার্থী। তারা সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এখন নিজেরাই আত্ম স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখছেন। অনেকেই সেলাই কাজ শিখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা খুলেছে।আবার কেউ কেউ নিজের ঘরে সেলাই কাজ করে আত্ম স্বাবলম্বী হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাছন্দে জীবন যাপন করছেন।সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর ট্রাস্টের দারিদ্র বিমোচন পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম আল মাসুদ বলেন,বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টের অর্থায়নে সারাদেশ চলমান ৯২টি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রয়েছে।এসব কেন্দ্রের শিক্ষার্থী সংখ্যা রয়েছে কয়েক হাজারও বেশি।এসব কেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজারও বেশি সেলাই কাজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।দরিদ্র নারীদের ব্যাপক আকারে স্বাবলম্বি করতে সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টের এই উদ্যোগ। এই প্রকল্প এছাড়াও আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।এরমধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ, সব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিধাব ও প্রতিবন্ধী নারীদেও পুনর্বাসন করা, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সম্মানজন জীবন-যাপনের দিকে এগিয়ে নিতে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পরিবারে অন্তত একজনকে আয় সক্ষম দক্ষ ব্যক্তিতে পরিণত করা।