তানোর প্রতিনিধি : দীর্ঘ ২২ বছর ধরে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। মেয়ের বয়সের এক অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রলোভনে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের নয় মাস ধরে প্রতারনা করে আসছেন মানুষ গড়ার কারিগর নামের শিক্ষক রবিউল ইসলাম। একজন শিক্ষক কি ভাবে মেয়ের বয়সের শিক্ষার্থীর সাথে এমন ভয়ানক প্রতারনা করতে পারেন এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের। রবিউল ইসলাম রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন(ইউপির) নারায়নপুর দ্বিতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ২২ বছর ধরে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। রবিউলের বাড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী কামারগাঁ ইউনিয়ন( ইউপির) শেষ সীমানা নিয়ামতপুর উপজেলার কুচরাগ্রামে। তারা তিন ভাই শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। বলা যায় শিক্ষক পরিবেশ বান্ধব শিক্ষক পরিবার। এজন্য গ্রামে তারা অনেক প্রভাবশালী। আর তার দ্বিতীয় স্ত্রী গরীব অসহায়। একারনে তাদের সাথে পেরে উঠে না। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষক রবিউলের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা করার জন্য নওগাঁ আদালতে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে । ফলে ভয়ংকর প্রতারক শিক্ষক রবিউলের শাস্তির দাবিতে ফুসে উঠেছে গ্রামবাসীসহ এলাকার জনসাধারন।
জানা গেছে, বিগত প্রায় নয় মাস আগে উপজেলার সীমান্তবর্তী নিয়ামতপুর উপজেলার কুচরা গ্রামের জৈনক ব্যক্তির অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা দেন মোহর ও ১০ কাঠা জমি দেওয়া হবে মর্মে একই গ্রামের তানোর উপজেলার তালন্দ ইউপির নারায়নপুর দ্বিতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের শিক্ষক রবিউল ইসলাম বিয়ে করেন। কিন্তু দীর্ঘ নয় মাস ধরে বিয়ে করে আজ কাল ঘরে তুলব বলে কালক্ষেপন শুরু করেন শিক্ষক। শুধু তাই না তানোর সদরে ১০ কাঠা জমি কিনে সেখানেই বসবাস করার কথা এবং প্রথম স্ত্রী কে তালাকও দেওয়ার কথা ছিল এবং বিষয়টি নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা মিমাংশা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শিক্ষক রবিউলের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে রয়েছে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী মেয়ের বয়সের।
স্থানীয়রা জানান, রবিউলেরা গ্রামের মধ্যে প্রভাবশালী। তারা তিন ভাই শিক্ষক। রবিউল গ্রামের গরীব অসহায় অনার্স পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে করে গোপন করেন। এক কান দু কান হতে হতে সবাই জেনে যায়। রবিউলের দ্বিতীয় স্ত্রী একাধিকবার বাড়িতে উঠার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাকে প্রচুর নির্যাতন করেছেন। এমনকি গর্ভের সন্তানও নষ্ট করেছে বলে গুন্জন বইছে। একজন শিক্ষক তার স্ত্রী সন্তান থাকার পরও কিভাবে গোপনে বিয়ে করেন। তার শিক্ষকতা করার কোন যোগ্যতা নাই। শিক্ষক যদি বিয়ে করে প্রতারনা করেন তাহলে কি শিক্ষা দিবেন। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। নইলে এসব ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এধরনের শিক্ষকের জন্য কিশোর কিশোরীরা নানা অসামাজিক অপরাধ মুলুক কাজ করছে অহরহ। এমনকি দ্বিতীয় স্ত্রী কে ১০ কাঠা জমি রেজিস্ট্রি করে দিবেন বলে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে জালিয়াতি করে ভূয়া দাগ খতিয়ান নম্বর দিচ্ছিল, মুহুরি বুঝতে পেরে রেজিস্ট্রি হয় নি।
গত ১৫ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যার পরে শিক্ষক রবিউলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে অস্বীকার, পরে সব সিকার করে জানান মিমাংসার কথা চলছে হয়ে যাবে। সোমবারে তার কর্মস্থল নারায়নপুর স্কুলে গিয়ে কথা বলা হলে তিনি একই ধরনের কথা বলে এড়িয়ে যান।
প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করলে তিনি জানান, আমি অনেক আগে শুনেছিলাম, এটা তাদের পারিবারিক বিষয়, কি করবে তারাই ভালো জানে, আমাদের কিছুই করনীয় নাই।
সারোয়ার হোসেন
১৬ অক্টোবর /২০২২ইং