নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরা থানায় স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী সুজন মিয়া (৩৫) এর মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, আসামী আত্মহত্যা করেছেন। আজ বুধবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে থানার হাজতখানার টয়লেটের ভিতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুজন মিয়া রায়পুরা উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। এর আগে স্ত্রী লাভলী বেগমকে হত্যা করার মামলায় তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন জানান, সুজন মিয়ার সাথে ১৩ বছর আগে লাভলী বেগম (৩০) এর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত দুই মাস আগে সুজন বিদেশ থেকে দেশে আসে। তার স্ত্রী মোবাইলে অন্য ছেলের সাথে কথা বলত বলে সে আগে থেকেই তার স্ত্রীকে সন্দেহ করত। দেশে আসার পর তার এই সন্দেহ আরও প্রবল হয়। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়।
গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে তাদের স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে পরকীয়া নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হলে এক পর্যায়ে স্ত্রী লাভলী বেগমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী সুজন মিয়া। এ হত্যা মামলায় অন্যতম আসামী সুজন মিয়াকে সোমবার রাতে ফরিদপুরের সদরপুর থানার আটরশি দরবার শরীফের পাশ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রায়পুরা থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হাজতে নিয়ে আসেন।
আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) আসামী সুজন মিয়া আনুমানিক ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রায়পুরা থানা হাজতের ওয়াশরুমের ভিতরে জানালার রডের সাথে নিজের পরিহিত শার্ট দিয়ে দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে তাকে দ্রুত রায়পুরা থানা পুলিশ উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিস্তারিত অনুসন্ধানের নিমিত্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা ও রায়পুরা থানা পুলিশ কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।